নিজস্ব প্রতিবেদক :
শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও নানা উস্কানিমূলক কাজে জড়িত থাকাসহ একাধিক অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষকরা হলেন : সিএসই বিভাগের প্রভাষক প্রিন্স মাহমুদ ও আইসিটি বিভাগের প্রভাষক নাজিম উদ্দিন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চাঁবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতারের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মেজর (অব.) মো. আব্দুল হাই স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। বহিষ্কারের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদ্বয়কেও জানানো হয়েছে।
অব্যাহতিপত্র থেকে জানা যায়, চাঁবিপ্রবিতে চাকরিরত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পরিপন্থী কার্যক্রমে জড়িত থাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করা ও প্রবেশনারি পিরিয়ডে চাকরি সন্তোষজনক না হওয়ায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক প্রিন্স মাহমুদ ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলোজি বিভাগের প্রভাষক নাজিম উদ্দিনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের শৃঙ্খলার স্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আওয়ামীপন্থী এ দুই শিক্ষক হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে নানাভাবে উস্কানি, আর্থিক সুবিধা প্রদান, নানাভাবে প্রতিষ্ঠানের আইন পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হতে উৎসাহ প্রদানসহ বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে থাকেন বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার পরিবেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পদত্যাগসহ বহিষ্কারের দাবি তোলেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বহিষ্কৃত শিক্ষকদ্বয় মাহমুদ ও নাজিম বলেন, এতটুকুই বলবো, আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। যা মেনে নেওয়ার মতো নয়।
চাঁবিপ্রবি এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক প্রিন্স মাহমুদ ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলোজি বিভাগের প্রভাষক নাজিম উদ্দিন বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করেছেন। এছাড়া উপাচার্যের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় তথ্য শেয়ার করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টিসহ উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন। যার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, তারা শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে নানাভাবে উস্কানিমূলক কাজে ব্যবহার করেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থী। তাদের এ সব কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, যেখানে সারা দেশে শিক্ষকদের পদত্যাগের জন্য বাধ্য না করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেখানে এই দুই শিক্ষক শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করতে উশৃঙ্খলতার চরম পর্যায় পৌঁছিয়েছেন। তাই সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।