শিমুল হাছান :
চাঁদপুর-লক্ষীপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ইছাপুর এলাকার মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাইল হোসেন (১৫) কে পেছন থেকে আঘাত করে হাত-পা বেঁধে খালে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা তিন যুবকের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাইল প্রাণে বাঁচালো। খালের পানিতে থাকা হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এই কিশোরকে উদ্ধার করে, বাঁধন খুলে ক্ষীণ শ্বাস-প্রশ্বাস আছে দেখে অটোরিক্সা নিয়ে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ ও রামগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ইছাপুরা এলাকায় ঘটে। উদ্ধার হওয়া ইসমাইল হোসেন রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুরা গ্রামের মিজি বাড়ির কাঠমিস্ত্রি সুমন হোসেনের ছেলে এবং পার্শ্ববর্তী রাইমানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা হেফজ বিভাগের ছাত্র।
মঙ্গলবার রাতে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাদীন অবস্থায় ইসমাইল হোসেন জানায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স দেখে তার পিছু পিছু যায়। হঠাৎ করেই কে বা কারা তার মাথার পিছনে বাড়ি দেয়। পিছনে ফিরে সে হেলমেট পড়া কয়েকজন লোক দেখতে পায়। এরপর তাকে আরো কয়েকবার আঘাত করার পর সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফিরলে সে হাত-পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় পানিতে রয়েছে বলে সে বুঝতে পারে। এক সময়ে সে চিৎকার দেওয়ার চিৎকার চেষ্টা করলে কয়েকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার করা তিন যুবক রিপন, মনিরুল বাশার লিমন ও সবুজ তারা ইছাপুরায় তাদের বন্ধুর বাবার জানাযায় যাচ্ছিলেন। এমন সময়ে খাল থেকে গোঙানির শব্দ পেয়ে ছুটে গিয়ে এই কিশোরকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। তাকে উদ্ধার করে বেঁচে আছে নিশ্চিত হয়ে দ্রুত ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে চিকিৎসকরা তাকে অক্সিজেনসহ আনুসাঙ্গিক চিকিৎসা দিয়ে কিছুটা সুস্থ করেন তোলে।
ইসমাইল হোসেনের বোন জামাই মো. ফারহাদ জানান, মাগরিবের পর তার শ্যালক ইসমাইল মাদ্রাসায় যায়নি বলে জানায়। পরে মাদ্রাসা থেকেই ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে বলে জানালে তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন।
ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মুমতাহিনা জানান, কয়েকজন যুবক ইসমাইল হোসেন নামে এক কিশোরকে সন্ধ্যার পর হাসপাতলে নিয়ে আসে। আমরা দ্রুত তাকে অক্সিজেনসহ আনুসাঙ্গিক চিকিৎসাপত্র দেই। পরবর্তীতে অবজারভেশনের জন্য সিটে এডমিট করি। বর্তমানে সে আশংকামুক্ত।