নিজস্ব প্রতিবেদক :
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চাঁদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় তাকে আদালতে গ্রেফতার দেখানোর জন্য চাঁদপুর আদালতে হাজির করার প্রস্তুতি থাকলেও শেষ পর্যন্ত হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে আইনজীবীসহ ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হত্যাসহ নানা ক্ষোভের কারণে আদালতে আনা হলে তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ হতে পারে। যে কারণে আজ দীপু মনিকে চাঁদপুর আদালতে আনা হচ্ছে না বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, ডা. দীপু মনিসহ আওয়ামী লীগ ও তার দলীয় লোকদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত চাঁদপুর সদরে ৩টি মামলা হয়েছে। দুটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকবুল হোসেন এবং অপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেন। এর মধ্যে প্রথম মামলাটি হচ্ছে গত ১৮ জুলাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের জেএম সেনগুপ্ত রোডের বাসা মনিরা ভবনে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনায় দীপু মনি ও তার ভাই টিপুকে হুকমের আসামী করে মামলা হয়। মামলা নং-জিআর ৫৭১/২৪।
দ্বিতীয় মামলা চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি হামলার ঘটনায় দীপু মনি, জে আর ওয়াদুদ টিপু ও ড. সেলিম মাহমুদসহ ৬২৪জনকে আসামী করে মামলা করেন শিক্ষার্থীর অভিভাবক নুরুল ইসলাম খান। মামলা নং- জিআর ৫৭৯/২৪।
তৃতীয় মামলাটি হচ্ছে চাঁদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের সড়ক ভবন এলাকায় বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করেন মোক্তার আহমেদ। মামলা নং-জিআর ৫৮৫/২৪।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর ভোর ৭টায় তিন মামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখানোর জন্য দীপু মনিকে চাঁদপুর আদালতে আনার কথা। দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি ও তার সিন্ডিকেট মানুষকে অনেক হয়রানি করেছেন। বিক্ষুব্ধ জনতা অপেক্ষায় আছে কবে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দীপু মনি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে চাঁদপুরে বিএনপি-জামায়াতের ২৩জন লোক তার নির্দেশনায় পুলিশের হাতে প্রাণ হারিয়েছে। সে সমস্ত লোকদের পরিবারের সদস্যরা তার বিচার, অত্যাচার, দুর্নীতি ও সীমা লঙ্ঘনের জন্য তাকে খুঁজছে। সে চাঁদপুরে রাজনীতির সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নষ্ট করেছে। প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ করা লোকরা তাকে খুঁজছে এসব প্রশ্নের জবাব নিতে।