নিজস্ব প্রতিবেদক :
হাজীগঞ্জ পৌর বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ডের দখলদারিত্ব তথা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার করেছে। রামদা, তলোয়ার ও ধারা অস্ত্রের আঘাতে অধিকাংশ ব্যক্তি জখম ও আহত হয়েছে। এ সুযোগে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করেছে সুযোগসন্ধানী কিছু লোক। এসময় পুরো বাজারে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত চলে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১০জনের অবস্থা গুরুতর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২জনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির নিহতের গুঞ্জন প্রচার হলেও রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কারো মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও ওই দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের কারণ নিয়ে পক্ষগুলো প্রকাশ্যে কোনো কিছু বলেনি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা স্থানীয় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের অনুসারী। মূলত স্থানীয় দু’টি বৃহৎ গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।