চাঁদপুরে জেলেপল্লীতে ফের মেঘনার ভাঙন : জেলা প্রশাসকের পরিদর্শন

শরীফুল ইসলাম :
বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ভাঙন আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত মানুষজন দিন কাটাচ্ছেন চরম আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে। প্রতিদিন নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও জনপথ। এ অবস্থায় স্থানীয়দের আশ্বস্ত করতে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক চাঁদপুর সদরের তরপুরচন্ডী আনন্দবাজার এলাকার জেলেপল্লীসহ মেঘনা তীরবর্তী বিভিন্ন ভাঙন প্রবণ এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি নদীপাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন এবং সমস্যার কথা শোনেন। নদীভাঙনের ভয়াবহতায় প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো ডিসির আশ্বাসে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন। তারা দ্রæত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের দাবি জানান।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসীম মেহেদী বলেন, বর্ষা মৌসুম এলেই নদী পাড়ের মানুষদের ভাঙন আতঙ্কে রাত কাটাতে হয়। বহু পরিবার বসতবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের দাবি, স্থায়ী সমাধান ছাড়া নদীভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। বিষয়টি জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নজরে আসলে তিনি জেলা প্রশাসককে পরিদর্শনে আসার আহ্বান জানান। এই প্রথম কোন জেলা প্রশাসক এখানে এসে ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে গেলেন। আমাদের প্রত্যাশা এখানে সহসাই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হবে।

এদিকে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে অস্থায়ী নয়, স্থায়ী সমাধানের জন্য কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সরকার এ বিষয়ে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্তসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।

শেয়ার করুন