চাঁদপুরে ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

শরীফুল ইসলাম :
টানা ভারি বৃষ্টিতে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি বেড়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৭১ মিলিমিটার। বুধবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে এবং চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ভেতরে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে খোদ চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায়।

বুধবার দুপুরে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের তথ্য জানান চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এখন পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত আছে।

টানা বৃষ্টির কারণে বুধবার সকাল থেকে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় যেতে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেও খেটেখাওয়া মানুষ সড়কে নেমেছে। বিশেষ করে রিকশাচালক ও হকারদের সড়কে দেখা গেছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ভেতরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সড়ক, মাছের ঘের ও বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে বহু পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে চাঁদপুর জেলায়ও এবার বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আল-আমিন জানান, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়ক ও বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। বেড়িবাঁধের পানি না কমায় মাছের ঘেরগুলো নিয়ে খামারিরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছে। পানি বন্দি লোকজনও পরিবারের শিশু ও বয়স্ক সদস্যদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা ছিল ৩.৭ মিলিমিটার এবং ভাটার সময় ছিলো ৩.৬ মিলিমিটার।

শেয়ার করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)