চাঁদপুরে জামাতার ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর পর এবার শ্বাশুড়ির মৃত্যু

ঋষিকেশ :
ফরিদগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে জামাতার উপুর্যপরি ছুরিকাঘাতে স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতুর নিহত হওয়ার পর এবার শ্বাশুড়ি পারভীন আক্তারও মৃত্যুবরণ করেছেন। ছুরিকাঘাতে তাৎক্ষণিক স্ত্রী রিতুর মৃত্যু হলেও শ্বাশুড়ি পারভীন দুইদিন চিকিৎসাধীন থেকে শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে খুনের ঘটনায় ঘাতক জামাতা আল মামুন মোহনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য আদালতে হাজির করা হলেও সে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করায় তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে খুনের ঘটনায় রিতুর স্বামী আল মামুন মোহনকে প্রধান ও তার ভাই এবং বোনকে আসামী করে নিহত রিতুর চাচা লিয়াকত খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাজী জাকারিয়া অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। নৃশংস এই খুনের ঘটনা ১৩ মে বুধবার ইফতার পূর্ব সময়ে উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রিতুর মামী তাছলিমা বেগম জানায়, সৌদি আরব থেকে মোহন চলে আসার পর বেকার অবস্থায় ছিল। বিয়ের সময় রিতুকে দেয়া স্বর্ণালংকার সবকিছু বিক্রি করে ফেলে সে। এছাড়া বাড়িতে বসবাস করার জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় রিতু স্বামীর বাড়িতে যেতে চাইতো না। সে বাপের বাড়ি থেকেই পড়ালেখা করতো। এই নিয়ে মোহন স্ত্রীকে সন্দেহ করতো যে, সে পরকীয়ায় আসক্ত। এসব বিষয় নিয়ে দ্ব›েদ্বর জের ধরে রিতুকে হত্যা করে এবং তার মা ও ভাইকে আহত করে মোহন।

ঘাতক মোহন ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে আটক অবস্থায় জানিয়েছে, তার স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত। তার প্রবাস থেকে পাঠানো সকল অর্থ তারা আত্মসাৎ করেছে। তাকে পাত্তা দিতো না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে ছুরিকাহত করেছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রকিব এই বিষয়ে বলেন, রিতুর মৃত দেহের পোস্টমর্টেম সম্পন্নের পর শ্বাশুড়ির লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত রিতুর চাচা লিয়াকত খান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)