ছবির ক্যাপশন : ২০২০ সালে চাঁদপুরের নদীতে নৌ-পুলিশের উপর জেলেদের হামলার পর নৌ-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের চিত্র -ফাইল ছবি।
তালহা জুবায়ের :
এবার নিয়মিত দায়িত্বের বাইরে চাঁদপুরসহ সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহের নদ-নদীতে অতিরিক্ত ১৫০০ নৌ-পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পংকজ চন্দ্র রায়। মোতায়েনকৃত এসব পুলিশ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ অভিযানের আওতাধীন দেশের নির্ধারিত নদীগুলোতে মা ইলিশ রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন।
শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর চরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা আশাকরি জেলে ভাইরা নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা থেকে বিরত থাকবেন। মা ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ না পেলে আগামীতে নদীতে ইলিশ পাওয়া যাবে না। তাই যে করেই হোক আমাদের মা ইলিশকে ডিম ছাড়তে দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। একই সাথে ডিম ফুটে বের হওয়া জাটকা সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলেই নদীতে ইলিশ মাছ বৃদ্ধি পাবে। তখন জেলে ভাইরা আরো বেশি পরিমাণে ইলিশ আহরণ করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, ইলিশের ডিম ছাড়ার জন্য চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অংশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে অনেক অসাধু জেলে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীতে নামার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে রাজরাজেশ^র এলাকায় অনেক জেলে এই সময়টিতে নদীতে মাছ ধরতে নামে। আমরা অনুরোধ করি এই অপকর্মে কেউ লিপ্ত হবেন না। কেউ যদি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীতে ইলিশ ধরতে নামে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সাথে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে কোন পুলিশ সদস্যও যদি অনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে, তবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি প্রদান করেন তিনি।