চাঁদপুরের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়ি বাঁধে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নোটিশ ও মাইকিং

নিজস্ব প্রতিনিধি :
চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজ সংলগ্ন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উচ্ছেদের পূর্বে অবৈধ দখলদারদের নোটিশ প্রদান ও মাইকিং করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ মাইকিং কার্যক্রম শুরু হয়। শুক্রবারও বেড়ি বাঁধের উপর মাইকিং করতে দেখা যায় বাঁধের বিভিন্ন এলাকায়।

নোটিশ ও মাইকিংয়ে বলা হয়, আগামী ২৪ জুন বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজ সংলগ্ন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

উক্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার পূর্বে অবৈধ স্থাপনা ও ইটসহ অন্যান্য মালামাল নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য মালিকদের অনুরোধ করা হল। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক মালামাল ও স্থাপনা অপসারণসহ নিলামের ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় কোন আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।

মোহনপুর এলাকায় বেড়ি বাঁধের পাশের দোকানী আবদুস সাত্তার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাঁধের পাশে ব্যবসা করে সংসার নির্বাহ করে আসছি। এখন হঠাৎ করে আমাদের উচ্ছেদ করা হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। আমরা মূলত বাঁধের পাশের অব্যবহৃত জমিতে দোকান করেছি। এতে কারো কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।

ষাটনল বাজার সংলগ্ন বেড়ি বাঁধের পাশের দোকানী শাহ আলম বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তি পানি উন্নয়ন বোর্ড একোয়ার (অধিগ্রহণ) করে নিয়েছে। বাড়ি ছাড়া এখন আর আমাদের জমি নাই। তাই পূর্বপুরুষের একোয়ারকৃত অব্যবহৃত সম্পত্তিতে দোকান তৈরী করে সংসার নির্বাহী করছি। আমাদের উচ্ছেদ করা হলে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পরবে।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও নদীর তীর প্রতিরক্ষার জন্য উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এ জন্য নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন