চাঁদপুর প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর চর এলাকায় মেঘনা নদীতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুই ডাকাতকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোটটিও জব্দ করা হয়েছে। রোববার রাতে ডাকাতির ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের নৌ-পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
ডাকাতির শিকার ট্রলারযাত্রী মো. সৈকত জানান, রোববার বিকেলে পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলার ফেরিঘাট থেকে ৩০-৩৫জন যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে ইব্রাহিমপুর চর এলাকায় দিয়ে মেঘনা নদী পাড় হওয়ার সময় একটি স্পিডবোটে করে ১০-১২জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল ট্রলারটির গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ট্রলারে যাত্রীদের নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করতে থাকে। ডাকাতদের আঘাতে কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। পরে ডাকাতরা শরীয়তপুরের দিকে পালিয়ে যায়।
চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় জনগণ তাদের ধাওয়া করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান স্টেশন এলাকার স্থানীয় জনগণ দুই ডাকাতকে আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডাকাতদের আটক করে শরীয়তপুরের সখিপুর থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে চাঁদপুর নৌ-থানায় নিয়ে আসা হয়। আটককৃত ডাকাতরা হলেন- শরীয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া এলাকার মৃত ওমর আলী হাওলাদারের ছেলে মো আলতাফ হোসেন (৪০) ও একই এলাকার মৃত আব্দুল হক প্রধানিয়ার ছেলে মনির হোসেন প্রধানীয়া (৩০)।
নৌ-পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ট্রলারে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে ডাকাত দলের সদস্যরা। তাদের আঘাতে কয়েকজন যাত্রী আহত হলে তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে। ডাকাত দলের পালিয়ে যাওয়া সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।