শরীফুল ইসলাম :
আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জুলাই) সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে আগাম ঈদ অনুষ্ঠিত হবে। ওইসব গ্রামগুলোর লক্ষাধিক অনুসারী সৌদি আরবের সাথে একযোগে ঈদুল আযহাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব উদযাপন কওে আসছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামের পীর বাড়ির সাদ্রা সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবু বকর ছিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদ। তাই সাদ্রাসহ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে প্রতি বছরের ন্যয় এবারও ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মাওলানা আবু জোফার আব্দুল হাই জানান, সাদ্রা দরবার শরীফের তৎকালীন পীর মাও. ইসহাক আরব দেশসমূহের সাথে মিল রেখে আগাম রোজা রাখাসহ দুই উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামে ১৯২৮ সাল থেকে একদিন আগে এই প্রথা চালু করলেও এখন ৪০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দেশের নিয়মের বাইরে অর্থাৎ একদিন আগে ঈদ উদ্যাপন করেন।
সাদ্রা ছাড়া জেলার ৪০টি গ্রামের একাংশে ওই পীরের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদ্যাপন করেন।
গ্রামগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রাম।
এছাড়া চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, ল²ীপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাওঃ ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদ্যাপন করেন।
এদিকে একদিন আগে ঈদের জামাত করা নিয়ে মতবিরোধে সৃষ্ট সংঘর্ষে ১৯৮৬ ও ’৮৭ সালে দুই ঈদে দু’শতাধিক মানুষ আহত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর সাদ্রায় ঈদের দিন ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।