চাঁদপুরে ইলিশ রক্ষায় জল-স্থল-আকাশ থেকে নজিরবিহীন অভিযান

আল-ইমরান শোভন :
চাঁদপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার ভোর রাত থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী এবং দুর্গম চরাঞ্চলের জেলেপল্লীতে এই অভিযান চালানো হয়। এতে আকাশ পথে হেলিকপ্টার এবং নদীতে লঞ্চ, স্পিডবোটসহ একাধিক নৌযান অংশ নেয়। ইলিশ রক্ষায় এমন কঠোর যৌথ অভিযান চাঁদপুরে এর আগে লক্ষ্য করা যায়নি।

অভিযানে নৌ-পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা, চাঁদপুর জেলা পুলিশ এবং মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
অভিযানকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার দুর্গম চর রাজরাজেশ্বর এলাকায় কয়েকশ’ মাছ ধরা নৌকা এবং জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ সময় জেলেরা এলাকা ছেড়ে গাঢাকা দেয়।

নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার (এডমিন) শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযানকালে ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চার কোটি মিটার কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম পোড়ানো হয়।

অভিযানে নৌ-পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মাহবুবর রহমান, মোল্লা নজরুল, পুলিশ সুপার খন্দকার ফরিদুল ইসলাম, আকতার বসুনিয়া, মাসুমা আক্তার, মিনা মাহমুদা ও মমিনুল ইসলামসহ নৌ-পুলিশের সাড়ে চার শতাধিক অফিসার ফোর্স অংশ নেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে অসাধু জেলেদের বিরত রাখার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেসব জেলে মাছ শিকারে নামছে তাদেরকে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল ও নৌকা জব্দ করা হচ্ছে।

মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এর আগে গত রোববার রাজরাজেশ্বর এলাকায় অভিযান চালাতে গেলে নৌ-পুলিশের উপর হামলা চালায় জেলেরা। এতে ২০ পুলিশ সদস্য আহত হন। এই ঘটনার পর থেকে অভিযান আরো জোরদার করা হয়।

১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন