শরীফুল ইসলাম :
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি ভুলে গিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে চাঁদপুর শহরের মার্কেটগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মার্কেটে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের জামা-কাপড় কিনতে ছুৃটে আসছেন মার্কেটে। এতে করে মার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
রোববার চাঁদপুর শহরের মার্কেটগুলো ঘুরে যে চিত্র দেখা যায়, ক্রেতা এবং বিক্রেতারা এমনভাবে চলাফেরা করছেন, দেখে মনে হচ্ছে করোনাভাইরাস এখন আর নেই। ক্রেতা ও বিক্রেতারা তোয়াক্কাই করছে না করোনা সংক্রমণের ভয়কে। অধিকাংশ ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। স্বাস্থ্যবিধির কোন অংশই মানছেন তারা। যার কারণে পরিবর্তীতে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে ঈদ কেনাকাট করতে আসা রূদয় ও জসিমসহ সাথে থাকা ৫জনের মুখে ছিল না মাস্ক। যার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গুণতে হয়েছে অর্থদন্ড। তারা বলেন, আমাদের সবার সাথেই মাস্ক আছে। দীর্ঘক্ষণ ঘুরাঘুরি করে ক্লান্ত হয়ে গেছি। যার কারণে মুখ থেকে মাস্ক খুলে রেখেছিলাম। আমাদের এই ভুল আর হবে না।
দোকানের মালিক কামরুল বলেন, লকডাউনে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ঈদের কিছু দিন আগে লকডাউন শিথিল করেছে। যার কারণে ঈদের কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের একটু ভিড় বেশি। আমরা যতটুকু চেষ্টা করছি, যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সিফাত বলেন, প্রতিদিন আমরা মার্কেটগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি, যাতে করে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি মনে চলে। এর মধ্যেও অনেকেই মাস্ক পড়েন না, যার কারণে আমাদেরকে জরিমানার আওতায় আনতে হয়। আমাদের মূল উদ্দেশ্য সচেতন করা, জরিমানা করা নয়।