চাঁদপুরে করোনা ইউনিটে শৃঙ্খলা ফিরাতে কাজ করছে আনসার বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আনসার সদস্যদের নিরবিচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালনে শৃঙ্খলা ফিরেছে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাইরে বের না হওয়া ও স্বজনদের অপ্রয়োজনে আইসোলেশন সেন্টারে প্রবেশে নজরদারি রাখতে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। এতে করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মাধ্যমে হাসপাতালে আসা অন্যান্য রোগী ও চিকিৎসাসেবীদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পাচ্ছে বলে মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বুধবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আইসোলেশন স্টেন্টারের সামনে দায়িত্ব পালন করছেন আনসার সদস্যরা। আইসোলেশন সেন্টারে প্রবেশ করতে চাওয়া রোগীর স্বজনদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতির বাইরে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। একই সাথে আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন কোন করোনা আক্রান্ত রোগী যেন বাইরে বের হতে না পারে সেদিকে তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখছেন।

দায়িত্বরত আনসার সদস্য মো. ইয়াছিন পাটোয়ারী বলেন, আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করছি। রোগীরা যেন আইসোলেশন সেন্টার থেকে বের হয়ে অযথা ঘুরাফেরা করতে না পারে সেদিকে নজর রাখছি। একই সাথে অপ্রয়োজনে রোগীর স্বজনদের ভেতরে প্রবেশ না করতে অনুরোধ করছি।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, আগে আমাদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে করোনা আক্রান্ত অনেক রোগী আইসোলেশন সেন্টার থেকে বের হয়ে বাইরে ঘুরে ফেরা করতো। তাছাড়া রোগীদের স্বজনরাও অবাদে আইসোলেশন সেন্টারের ভিতরে প্রবেশ করতো। এতে করে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকসহ ওই এলাকায় আগত মানুষের মাঝে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় কয়েকগুন। তাই আমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তার স্বজনদের মাঝে শৃঙ্খলা বজায়ে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাই।

গত ৩১ জুলাই থেকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটসহ প্রয়োজনীয় স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন আনসার বাহিনীর সদস্যরা। তাদের নজরদারীর কারণে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে পরিবেশ। এখন আর চাইলেই কেউ করোনা ইউনিটে প্রবেশ বা বের হতে পারেন না। তাই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেকটাই কমেছে এখানে।

তিনি বলেন, অনেক সময় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই অনেকে আইসোলেশন সেন্টারে প্রবেশ করে থাকেন। অনেক গণমাধ্যম কর্মীরাও এমনটা করার চেষ্টা করেন। এর ফলে তারা নিজেদের পাশাপাশি তাদের পরিবারকেও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহŸান থাকবে, আপনাদের পেশাগত কাজে আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহারের আহŸান জানাচ্ছি।

চাঁদপুর জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাহিদার ভিত্তিতে ১২ জন আনসার সদস্য দেওয়া হয়েছে। তারা তিন সিফটে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আইসোলেশন সেন্টারের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দায়িত্ব পালন করছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন