কবির হোসেন মিজি :
চাঁদপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউনে জব্দকৃত ২৬১টি সিএনজি স্কুটার, অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল ও মাইক্রোবাস শর্ত সাপেক্ষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে থেকে চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে রাখা জব্দকৃত সিএনজি স্কুটার ও অটোরিক্সাগুলো ট্রাফিক ইনচার্জ (প্রশাসন) জহিরুল ইসলাম মার্কিং কালি দিয়ে দাগের চিহ্ন দিয়ে মালিকপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেন।
বিনা জরিমানায় ছেড়ে দেয়া গাড়ির মধ্যে রয়েছে ১২১টি ইজিবাইক, ৮৮টি রিকশা, ৫০টি সিএনজি স্কুটার, ১টি মোটরসাইকেল ও ১টি মাইক্রোবাসসহ সর্বমোট ২৬১ গাড়ি।
এ সময় চাঁদপুর সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ আজাদসহ ট্রাফিকের অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ দিন সকাল থেকে চাঁদপুর স্টেডিয়াম গেটের সামনে গাড়ি নেওয়ার জন্য চালক ও মালিকদের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৩ থেকে লকডাউনের শর্ত ভঙ্গ করে যেসব যানবাহন যাত্রী পরিবহন করেছে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে জব্দ করা হয়। তার মধ্যে সর্বমোট ২৬১টি অটোরিক্সা, সিএনজি স্কুটার ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা আটক করে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছিল।
জব্দকৃত এসব যানবাহনগুলোর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাবে এই আশংকায় অবশেষে মানবিক দিক চিন্তা করে চালক ও মালিকদের শর্ত দিয়ে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়। লকডাউন চলাকালীন সময়ে তারা গাড়ি নিয়ে আর রাস্তায় বের হবেন না- এই শর্তে পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ (বিপিএম-বার) মানবিক কারনে বিনা জরিমানায় ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে থেকে চাঁদপুর স্টেডিয়াম থেকে এক এক করে গাড়ির প্রকৃত চালক ও মালিককে গাড়ি বুঝিয়ে দেন ট্রাফিক পুলিশের টিআই প্রশাসন জহিরুল ইসলাম।
চাঁদপুর ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান, লকডাউন চলাকালীন সময়ে আইন অমান্য করে যারা যাত্রী পরিবহন করেছে তাদের সিএনজি-অটোরিকশা গুলো আটক করে রাখা হয়। আটককৃত গাড়িগুলোর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মানবাকি দিক চিন্তা করে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ স্যারের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে গাড়িগুলো জরিমানা ছাড়া ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মার্কিং কালি দিয়ে দাগ লাগিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাতে করে লকডাউন চলাকালীন সময়ে পরবর্তীতে সেগুলো রাস্তায় বের হয়ে যাত্রী পরিবহন করলে তাদেরকে আটক করে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।