নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের হাইমচরে দিনমজুর সিদ্দিক মৈশালের স্ত্রী গৃহবধূ জেসমিন বেগমকে নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক সাইমুন সিরাজী উধাও হয়ে গেছে। গত ৫ নভেম্বর গৃহবধূ জেসমিন বেগম ঘরে থাকা আড়াই লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ সাইমুন সিরাজীর হাত ধরে পালিয়ে যায়।
উপজেলার উত্তর চরভাঙ্গা কারীমিয়া নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী সিদ্দিক মৈশাল বাদী হয়ে হাইমচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেসমিন বেগমের ছোট ছেলে ছাব্বির হোসেনকে ১ বছর পূর্বে মুফতি সালমান সাকির পরিচালিত প্রতিষ্ঠান উত্তর চরভাঙ্গা কারীমিয়া নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। সেই সুবাদে ছেলেকে আনা-নেয়া ও খাবার দিয়ে আসার জন্য নিয়মিত মাদরাসায় যান জেসমিন বেগম।
সেখান থেকেই মাদ্রাসার শিক্ষক সাইমুন সিরাজীর সঙ্গে সখ্যতা বেড়ে ওঠে তার। এক পর্যায়ে অবৈধ পরকীয়ায় লিপ্ত হন তিনি। মাদ্রাসার শিক্ষক সাইমুন সিরাজী বিভিন্ন লোভ লালসার প্রলোভন দেখিয়ে জেসমিন বেগমের কাছ থেকে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ৫ নভেম্বর অভিযুক্ত জেসমিন বেগম ঘরে থাকা আড়াই লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকারসহ সাইমুন সিরাজীর হাত ধরে পালিয়ে যায়।
মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি সালমান সাকি বলেন, পরীক্ষা শেষে ৩ নভেম্বর থেকে মাদরাসা ৭ দিনের জন্য বন্ধ দেয়া হয়েছে। খোলার তারিখে সবাই উপস্থিত হলেও নূরানী বিভাগের শিক্ষক সাইমুন সিরাজী উপস্থিত হননি। তার ফোনে কল দিয়েও যোগাযোগ করতে পারিনি। পরে শুনেছি আমার মাদ্রাসার ছাত্র ছাব্বির হোসেনের মা’কে নিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে তাকে খুঁজে পেলে থানা পুলিশের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তির মুখোমুখী করবো, ইনশাআল্লাহ।
অভিযুক্ত জেসমিন বেগমের স্বামী সিদ্দিক মৈশাল বলেন, আমার ছেলেকে প্রবাসে পাঠানোর জন্য টাকা জমিয়েছিলাম। সেই আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে সাইমুন সিরাজীর হাত ধরে আমার স্ত্রী অন্যত্র চলে গেছে। এনজিও থেকে কিস্তিতে টাকা উত্তোলন করে সেগুলোও নিয়ে গেছে। লম্পট সাইমুন সিরাজী ও জেসমিন বেগমকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।
জেসমিন বেগমের বাবা লনি মিজি বলেন, আমার মেয়ে জেসমিন বেগম কোথায় আছে সেটা বলতে পারছিনা। তবে শুনেছি নাতি ছাব্বির হোসেনের শিক্ষক সাইমুন সিরাজীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে অন্যত্র চলে গেছে। এরপর সে ফিরে এলেও আমরা তাকে মেয়ে হিসেবে পরিচয় দিবো না।
হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, মাদরাসা শিক্ষক সাইমুন সিরাজী গৃহবধূ জেসমিন বেগমকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর স্বামী সিদ্দিক মৈশাল। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। আসামীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।