মোরশেদ আলম :
ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত বিশাল ব্রিজ। কিন্তু দু’পাশের সংযোগ (এপ্রোস) সড়ক এখনো নির্মাণ না হওয়ায় দুই উপজেলার মানুষ ব্রিজটির সুবিধা ভোগ করতে দেরী হচ্ছে। প্রায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ সেতুর মূল কাজ সম্পন্ন।
কিন্তু এখনো সংযোগ সড়কের খবর নেই! স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, সেতুর সংযোগ সড়কের নকশা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এতে অপেক্ষাটা আরো দীর্ঘ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের ছোটসুন্দর গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত উল্লেখিত সেতুটি চাঁদপুর সদর উপজেলা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাথে সংযোগ সৃষ্টি করবে।
এটি চালু হলে দুই উপজেলার যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। উভয় জেলার হাজার হাজার মানুষ এখন সেতুটি চালুর অপেক্ষায় প্রহর গুণছে।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নবারুণ ট্রেডার্স লিমিটেড ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭৪.২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটির মূল কাজ শেষ করেছে। বাকী রয়েছে দু’পাড়ের সংযোগ সড়ক।
সংযোগ সড়ক না থাকায় আপাতত মানুষের কাজে লাগছে না সেতুটি। সংযোগ সড়ক না হওয়ায় দুই উপজেলাবাসী নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে।
দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচর, ভাষা আন্দোলনের বীর সেনানী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ভাষাসৈনিক এম এ ওয়াদুদের নামে নামকরণ করায় স্থানীয়রা শিক্ষামন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তারা দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দুই উপজেলাবাসীর সেতুবন্ধনের সূচনার দাবি জানিয়েছেন।
রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান.আল মামুন পাটোয়ারী বলেন, আমার ইউনিয়নে যে সেতুটি নির্মিত হয়েছে তা ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ নামে নামকরণ করায় সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই ব্রিজটি নির্মিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সেতুটি চালু হলে চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জের সড়কপথের দূরুত্ব অনেকাংশ কমে আসবে। বিশেষ করে চাঁদপুর সদরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও ফরিদগঞ্জের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ অনেক উপকৃত হবে।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নবারুণ ট্রেডার্স লিমিটেডের প্রকৌশলী সুব্রত বলেন, সেতুটির কাজের মান নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। যত দ্রুত সম্ভব সংযোগ সড়ক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরাও চাই দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে সেতুটি চালু হোক।
চাঁদপুরস্থ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুছ হোসেন বিশ্বাস বলেন, সেতুটি শিক্ষামন্ত্রীর পিতা ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ সেতু নামকরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মূল সেতুটির কাজ শেষ হয়েছে।
এপ্রোসের নকশা অনুমোদন হলে আশা করি চলতি অর্থবছরেই এপ্রোসের কাজ সম্পন্ন করে সেতুটি চালু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।