খালেকুজ্জামান শামীম/শিমুল হাছান :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষায় অভিনব কায়দায় নকল করতে গিয়ে মনোয়ার মাহাতাব নামের এক পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকালে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা হয়। এ পরীক্ষায় অভিনব কায়দায় নকল করতে গিয়ে বহিষ্কার হয় এ শিক্ষার্থী। জানা গেছে, বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী মনোয়ার মাহাতাব হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজের শিক্ষার্থী। জানা গেছে, ওই পরীক্ষার্থী ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে দেখে দেখে পরীক্ষা দেয়ার সময় ধরা পড়ে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কেন্দ্র সুপার ও হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আনোয়ার উল্যাহ্ জানান, এ দিন ইংরেজি প্রথম পত্রের অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ১২০নং কক্ষে মোবাইল ফোনে নকল পাওয়ায় মনোয়ার মাহতাব নামের ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন হল পর্যবেক্ষক মো. সাইফুল্লাহ।
এছাড়া এদিন হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ কেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে উপজেলার ৭টি কেন্দ্রে ২৮৭৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৮৬৩জন অংশগ্রহণ করে। ওই দিন অনুষ্ঠিত বাংলা (আবশ্যিক) ১ম পত্রের পরীক্ষায় ১০জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
অন্যদেকে ফরিদগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালিন অবস্থায় নকল সরবরাহের অপরাধে কলেজ পিয়নকে হাতেনাতে আটক করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালে উক্ত কলেজের অফিস সহায়ক মো. আরিফ হোসেনকে নকলসহ আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে ২টি প্রশ্নের উত্তরসহ কয়েকটি নকল পাওয়া যায়। নকল সরবরাহের অপরাধে আইনি বিধান অনুযায়ী তাকে ১ মাসের কারাদন্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
শিক্ষার্থীদের কাছে নকল সরবরাহের বিষয়ে গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মুনির চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমার কলেজের পিয়ন আরিফ। তাকে ১ মাসের জন্যে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি দুঃখ জনক।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিভাইজের মাধ্যমে নকলসহ পিয়নকে শনাক্ত করেন এবং এক মাসের সাজা দেন। ‘অভিযোগ উঠেছে কলেজে পাশের হার বাড়ানোর জন্য এ নকল সরবরাহ করা হয়’- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পাশের হার বেশি দেখানোর জন্যে এ নকল সরবরাহের সাথে কোনোভাবেই জড়িত নই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ‚মি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন নাহার বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্র ভিজিট করা সময় প্রতিষ্ঠানের গেইটে সন্দেহজনকভাবে কলেজ পিয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে তার কাছে পরীক্ষার প্রশ্নের দু’টি উত্তরসহ নকল পাওয়া যায়। এ সময় পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ ধারায় তাকে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়।