চাঁদপুরে রিমি হত্যায় কথিত স্বামী আটক : ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

শাওন পাটওয়ারী :
চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নে শাপলা আক্তার রিমি (২০) কে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার। হত্যাকান্ডের পর কথিত স্বামী শাহপরান গাজী (২৭) পালিয়ে যায়। পরে রাতেই তাকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে আটক করে পুলিশ।

নিহতের বড় বোন মৌসুমী আক্তার বাদী হয়ে ১৮ মে বুধবার চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ৪১। ২০ মে কথিত স্বামী শাহপরান গাজী (২৭) কে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। শাহপরাণ গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের পাইকদী গ্রামের শহর আলীর ছেলে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ মাস পূর্বে রিমি কাজের সন্ধানে ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসে এবং শাহ পরানের সাথে পরিচয় হয়।

গত ২০ দিন পূর্বে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দক্ষিণ আশিকাটি গ্রামের এনায়েত পাটোয়ারী বাড়িতে তারা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। আর প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো বলে জানায় পাশর্^বর্তীরা। গত ১৬ মে রাতে রিমিকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যা করে লাশ খাটের নিচে রেখে চলে যায় শাহপরান।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানায়, শাহপরান রিমির কথিত স্বামী। তাদের কোন বিয়ে হয়নি। বিবাহিত ছাড়া কেউ বাড়ি ভাড়া দেয় না বলে তারা স্বামী-স্ত্রী সেজেছিল বলে শাহপরান জানায়। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসা ছাড়া কিছু মৃত্যুও কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। আদালতের কাছে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ আশিকাটি গ্রামের এনায়েত পাটোয়ারী বাড়িতে গত ১৭ মে মঙ্গলবার দুপুরে খাটের নিচ থেকে শাপলা আক্তার রিমি (২০) নামের গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী শাহপরান গাজী পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ, পিবিআই ও সিআইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে ও আলামত সংগ্রহ করেন। নিহত শাপলা আক্তার রিমি ময়মনসিংহ চরকুমারিয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)