কবির হোসেন মিজি :
চাঁদপুরে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউনে জব্দকৃত ৩৩১টি সিএনজি স্কুটার ও অটোরিক্সা শর্ত সাপেক্ষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে থেকে চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে থাকা জব্দকৃত সিএনজি স্কুটার ও অটোরিক্সা গুলো ট্রাফিক ইনচার্জ (প্রশাসন) জহিরুল ইসলাম মারকিং কালি ধারা দাগের চিহ্ন দিয়ে মালিক পক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেন।
এ সময় চাঁদপুর সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ আজাদ সহ ট্রাফিকের অনন্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকে চাঁদপুর স্টেডিয়াম গেটের সামনে গাড়ি নেওয়ার জন্য চালক ও মালিকদের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে।
জানা যায়, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১ জুলাই থেকে দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় চাঁদপুরেও কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। চাঁদপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় সরকার ঘোষিত এই কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে আইন অমান্য করে যেসব চালক সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছেন। যেসব চালকদের গাড়ি জব্দ করা হয়। প্রশাসনের নির্দেশনায় গত এক সপ্তাহে একাধিক গাড়ি জব্দ করে চাঁদপুর ট্রাফিক বিভাগ। এরমধ্যে
৩৩১টি সিএনজি অটোরিকশা আটক করে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে রাখা হয়। অবশেষে মানবতার কথা চিন্তা করে চালক ও মালিকদেরকে লকডাউন চলাকালীন সময়ে যাতে তারা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের না হন। এই শর্ত দিয়ে সেগুলো ছেড়ে দেয়া হয়।
চাঁদপুর ট্রাফিক বিভাগের ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান, লকডাউন চলাকালীন সময়ে আইন অমান্য করে যারা যাত্রী পরিবহন করেছে। তাদের সিএনজি-অটোরিকশা গুলো আটক করে রাখা হয়। আটককৃত গাড়িগুলোর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে গাড়িগুলো জরিমানা ছাড়া ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মার্কিং কালি দিয়ে দাগ লাগিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাতে করে লকডাউন চলাকালীন সময়ে পরবর্তীতে সেগুলো রাস্তায় বের হয়ে যাত্রী পরিবহন করলে তাদেরকে আটক করে আইনগত ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।