কবির হোসেন মিজি :
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী লঞ্চের সিটে বসা ও ব্যাগ রাখাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে কুপিয়ে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত যুবককে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত ৮জনকে আটক করেছে চাঁদপুর নৌ-থানা পুলিশ।
নিহত মো. সুমন গাজী (৩২) চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী এলাকার মো. স্বপন গাজীর ছেলে। সুমন ঢাকায় বিমানবন্দর এলাকায় একটি ফার্নিচার দোকানে কাজ করতো। ঢাকা থেকে সে বাড়ি আসছিল।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা এমভি সোনার তরী-৩ লঞ্চযোগে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় সুমন গাজী। পথিমধ্যে লঞ্চটি চাঁদপুরের কাছাকাছি আসলে অপর লঞ্চ যাত্রী বাবুর সাথে লঞ্চের সিটে বসা ও ব্যাগ রাখা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ বাবু লঞ্চযাত্রী সুমনকে হুমকি-ধমকি দেয়। তখন বাবু মোবাইল ফোনে তার বন্ধুদের লঞ্চঘাটে আসতে বলে। লঞ্চটি রাত সোয়া ১১টার দিকে চাঁদপুর ঘাটে ভিড়লে বাবু ও তার বন্ধুরা মিলে সুমনের উপর চড়াও হয়। এ সময় তারা সুমনকে বেদম মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। ওই সময় সুমনের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়।
এ ঘটনার পর গুরুতর অবস্থায় আহত সুমনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোরে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামী বাবুসহ ৮জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে ৫জনকে ঘটনাস্থল থেকেই স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতা হাতেনাতে আটক করা হয়। লঞ্চের সিসি ক্যামেরারা ফুটেজ দেখে আসামীদের শনাক্ত করা হয়েছে।
নিহত সুমন ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড়। সে বিবাহিত। সম্প্রতি সে দুই লাখ টাকা ঋণ করে এলাকায় জমি কিনে। সেই টাকার মাসিক কিস্তি পরিশোধের করতে সে চাঁদপুর আসছিল হয়।