শরীফুল ইসলাম :
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে হুড়োহুড়ি করে উঠতে গিয়ে অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হয়েছে। রোববার (১ আগস্ট) সকালে ঢাকাগামী এমভি সোনার তরী-২ ও ইমাম হাসান লঞ্চের যাত্রীরা আহত হন। আহতদের মধ্যে অনেকেই চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
গার্মেন্টসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। এ দিন সকাল থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করে। বেলা ১১ টার পর কোন লঞ্চ না থাকায় চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ চাঁদপুর লঞ্চঘাটে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায় যাত্রীর চাপে ভেস্তে যায় স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পুলিশ সদস্যরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেখানে বাঁধভাঙা মানুষের ডল নামে।
এদিকে সিডিউলের বাইরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সোনার তরী-২ ও ইমাম হাসান লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে আসা মাত্রই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠতে থাকে। এ সময় যাত্রীদের পায়ে পৃষ্ঠ ও লঞ্চের ঢাক্কায় ৩০জন যাত্রী আহত হয়। এর মধ্যে দুই নারী ও একজন যুবক গুরুতর আহত হলে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসনপাতালে নিয়ে যায়।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সময় কম থাকায় অনেক লঞ্চ ঘাটে আসতে পারেনি। যার কারণে অল্প কিছু লঞ্চ চাঁদপুর-ঢাকা যাতায়াত করেছে। যাত্রীর চাপ থাকায় নির্ধারিত নময়ের আগেই ঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এতে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা আটকা পড়ে। যে পরিমাণ যাত্রী ছিল আরো ৫-৬টি লঞ্চ থাকলেও সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। ঢাকার দুটি লঞ্চ ঘাটে আসলে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে উঠা শুরু করে। যার কারনে কিছু মানুষ আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুরে লঞ্চগুলো যাত্রীর চাপে স্বাস্থ্যবিধি উপক্ষিত হয়েছে। যার কারনে আমরা কিছু সময় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে চাঁদপুর ঘাটের যাত্রী নিতে দেওয়া হয়। ঘাটে লঞ্চ আসলে কার আগে কে যাবে, পাল্লা দিতে গিয়ে মানুষ আহত হয়।