শরীফুল ইসলাম :
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাত জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায় চাঁদপুর থেকে ঢাকার সঙ্গে লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে সাত জেলার যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
এদিকে হঠাৎ করেই বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের। সকাল থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট ও পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শত শত যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া অনেকে বিকল্প হিসেবে মাইক্রোবাস ও এম্বুলেন্সে করে ঢাকায় ফিরেছেন। অন্যদিকে ঢাকাগামী কোন বাস ছেড়ে না গেলেও চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষীপুরসহ অন্যসব রুটে সিডিউল অনুযায়ী বাস ছেড়ে যাচ্ছে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আসা যাত্রী খোকন চৌধুরী বলেন, চাঁদপুর থেকে যে ঢাকার লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে, সেটি এখানে এসে জানলাম। ঢাকায় আমাকে আজকেই যেতে হবে কিন্ত লঞ্চ ও বাস বন্ধ থাকায় বাবুরহাট থেকে মাইক্রোবাসে করে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি।
চাঁদপুর পৌর টার্মিনালে রায়পুর থেকে আসা নুসরাত ও পারভিন বলেন, এখানে এসে পুরো বিপদে পড়েছি। কেউ বলে বাস আর যাবে না, আবার কেউ বলে অপেক্ষা করেন যাবে। এক ঘন্টা ধরে ঘুরছি কোন বাস ছাড়েনি। কুমিল্লার বাস চালকরা বলছে আমাদের কুমিল্লা নামিয়ে দিবে। সেখান থেকে নাকি অন্য বাসে করে ঢাকা যাওয়া যাবে। ভাবছি সেভাবেই যাবো।
চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী পদ্মা বাসের সুপারভাইজার সজিব হোসেন, রাত সাড়ে ৩ টার পর থেকে ঢাকার পদ্মাবাস বন্ধ রয়েছে। বাস সিডিউল অনুযায়ী ২০ মিনিট পর পর ঢাকার উদ্দেশ্যে পদ্মাবাস ছেড়ে যায়। কিন্তু এখন পুরো বন্ধ রয়েছে।
চাঁদপুর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজি বলেন, ঢাকার সাথে বাস চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকেই বাস বন্ধ রয়েছে। তবে অন্যসব রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
চাঁদপুর বিআইডব্লিটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা মো. কায়সারুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুর-ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়েছে। চাঁদপুর-ঢাকা রুটে ১৭ টি ও নারায়ণগঞ্জ রুটে ১৪টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। সরকারি নির্দেশনার কারনে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।