সুজন পোদ্দার :
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ-কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়ক বিভাগের আওতায় ৪২ কি.মি. জেলা মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রানহানি যেন কোনো ভাবে থামছে না। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে এই জেলা সড়কের ৩২ কিলিমিটার সড়কের অংশে ১৮ কি.মি রাস্তায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি ব্রিজসহ ১২টি বাক সরলীকরণ করা হয়। এছাড়া বাচাঁইয়া,হাজীগঞ্জ সড়কের ১৮ কি.মি. অংশে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়।
তবে বাক সরলীকরণ সঠিক ভাবে না হওয়ায় সড়কটি যেন দিনদিন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে। হাজীগঞ্জ-কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর এই সড়কে গত ও চলতি বছরে ঝরে পড়েছে ২৫ প্রাণ এবং আহত হয়েছেন শতাধিক লোকজন। অনেকে হাত পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আর হালকা বৃষ্টি হলেই ও অন্ধকার নেমে আসলেই মহাসড়কে যেন দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
বাস চালক ইউনুছ বলেন, দু’পাশে বাক সরলীকরণ সঠিক ভাবে না হওয়ায় আমরা গাড়ি ওভারটেকিং করতে গিয়ে দূর্ঘটনার স্বীকার হই।
বাস চালক সেলিম হোসেন, মানিক মিয়া ও ইকবাল দাবি করেন, পুরাতন রাস্তাই ভালো ছিল। সরলীকরণ গুলো সঠিক ভাবে না করায় এবং কাজের মান সঠিক না হওয়ায় দিনদিন দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাছাড়া প্রতিটি মোড়ে স্প্রিড ব্রেকার স্থাপন করা প্রয়োজন। সন্ধ্যা হলে ওই সড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকা এবং সরলীকরনে দু’পাশ না করে এক মুখি রাস্তা যানবাহন চলাচল করলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হত।
স্থানীয় অধিবাসী নিমাই সরকার, ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন, বাবুল মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান জানান, এই জেলা সড়কে সবচেয়ে বেপরোয়াভাবে বাস, ট্রাক, সিএনজি, মোটর সাইকেল, বালুর ট্রাক চলতে দেখা যায়। এছাড়া এই সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকও সড়কে চলছে অতিরিক্ত মাল বোঝা নিয়ে বেপরোয়া গতিতে। তাই সড়ক বিভাগকে এই জেলা সড়কে প্রটিতি মোড়ে স্প্রিডব্রেকার স্থাপন, বেপরোয়া গতিরোধ ও সঠিক ভাবে বাক সরলীকরণ করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তারা।
চাঁদপুর সড়ক (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, হাজীগঞ্জ-কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর এই জেলা সড়কে ১২টি বাক সরলীকরণ রয়েছে। যানবাহনে অতিরিক্ত লোডিং করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কগুলো প্রশস্তকরণ করা হলে দুর্ঘটনা কমবে আশা করছি। রাস্তাটি জেলা মহাসড়ক থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কে বৃদ্ধি লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি সড়কটি উন্নীত হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক পাশ কেটে লক্ষীপুর-নোয়াখালী গামী যানবাহন দ্রুত চলাচল করতে পারবে।