চাঁদপুর শহরে ছুটিশেষে মানুষের ঢল : করোনার ঝুঁকি চরমে

কবির হোসেন মিজি :
সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষে প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর রোববার থেকে চাঁদপুর শহরে ব্যাপক হারে বাড়ছে বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি। খোলা হয়েছে বিভিন্ন ব্যববসা প্রতিষ্ঠান। এতে করে করোনা সংক্রমনে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে চাঁদপুর জেলা শহর।

রোববার সকাল থেকে চাঁদপুর শহরে সরজমিনে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে বাড়ছে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি। খোলা হয়েছে বিভিন্ন দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। শহরের বাস্তব চিত্র দেখলে মনে হয় দেশে কোন প্রকার মহামারী নেই। করোনা ভাইরাসের প্রভাব কেটে গিয়ে সবকিছু যেন আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তাই স্বাভাবিক সময়ের মতোই শহরের চলছে যানবাহন এবং মানুষের উপস্থিতি। অনেক লোকজনকে মাস্ক ছাড়াও চলাফেরা করতে দেখা যায়।

রোববার সকাল থেকে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর কালী বাড়ি, বাসস্ট্যান্ড, ছায়াবানী মোড়, নতুনবাজার, পুরাণবাজার, মিশন রোড, চিত্রলেখা মোড়, চেয়ারম্যানঘাট, ওয়্যারলেসসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে ট্রাক পিকআপ ভ্যান, রিক্সা অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন সড়কে চলচল করছে। একই সাথে শহরে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিসহ খোলা হয়েছে বিভিন্ন দোকানপাটসহ বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে দেশের এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও শহরের শপথ চত্বরসহ কয়েকটি স্থানে যানজট সৃষ্টি হতে দেখা যায়।

জানা যায়, মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায়, সরকার ২য় দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন। তার আগে থেকে বিভিন্ন জেলায় চলতে থাকে অনির্দিষ্ট কালের লকডাউন। যা চাঁদপুরেও বহাল ছিল। করোনা প্রতিরোধে সরকারি ছুটি এবং লকডাউন ঘোষণার পর চাঁদপুরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। একই সাথে শহর কিংবা গ্রামে প্রত্যেক স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গণজমায়েত, এড়াতে বিভিন্ন দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল না করার নির্দেশ প্রদান করেন জেলা প্রশাসন।

এরপর গত ২৬ মার্চ থেকে এপ্রিল এবং মে এই দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ৩১ জুন থেকে সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষে ১ জুন থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু সীমিতি আকারে বহাল রাখার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু বাস্তবে তার একদিন আগে থেকেই চাঁদপুর শহরে একদিকে যেমন বেড়েছে ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন, অন্যদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলায় ব্যাপক হারে বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি।

বর্তমান সময়ে শহরে মানুষের এমন উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার কারণে করোনা সংক্রমে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে চাঁদপুর শহর। এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)