চাঁদপুর শহরে লকডাউনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন-সেনাবাহিনী

শরীফুল ইসলাম :
লকডাউন শিথিলের ৮ দিন পর কঠোর কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে চাঁদপুরে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সড়কে রিকশা, অটোবাইক ও সিএনজি চলাচলসহ মানুষের উপস্থিতি কিছুটা বৃদ্ধি পায়।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিধে মাঠে ছিল জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম। প্রয়োজন ব্যাতিত ঘর থেকে মাক্স বিহীন বের হওয়া মানুষদের গুনতে হয়েছে জরিমানা। এ ছাড়াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি পয়েন্টে পুলিশের তল্লাশী চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

এদিকে চাঁদপুরের লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড ও চাঁদপুর কোর্টস্টেশন ছিল একেবারেই ফাঁকা। লঞ্চঘাটের একটু দুরেই পল্টুনে বাধা রয়েছে কিছু লঞ্চ। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেরসহ ঘাট এলাকার দোকান পাটগুলো ছিল বন্ধ।

সেনাবাহিনী কুমিল্লা অঞ্চলের ক্যাপ্টেন কাজী ফয়সাল আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাস খুব দ্রæত ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের দেশে। যার কারনে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষনা করেছে। আমরা প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠে নেমেছি। আমাদের টহল টিম পুরো জেলায় কাজ করছে। জনগণকে সচেতন করার জন্য আমাদের সর্বত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ বলেন, আমরা সকাল থেকে শহরে অবস্থান করছি। চাঁদপুর জেলা প্রশাসকরে নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা টহল দিয়ে যাচ্ছে। অযথা কেউ বের হলে আমরা মোবাইল কোর্টের আওয়াতায় এনে জরিমানা করছি। সড়কে কিছু রিকশা চলাচল করছে। অন্যসব যানবাহন বন্ধ রয়েছে। সবচেয়ে বড় যেটি প্রয়োজন, সেটি হল মানুষের মধ্যে সচেতনাবোধ সৃষ্টি হওয়া। আমরা যতই কাজ করি না কেনো, মানুষ সচেতন না হলে লকডাউন বাস্তবায়ন হবে না।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় চাঁদপুরে ১ জনের মৃত্যুসহ ১১৮জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ দিন ২২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের তুলনায় হার ৫২.৪৪%। এ সব তথ্য সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন