শিমুল হাছান :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিখোঁজের ৫ দিন পর নিজ বাড়ির প্রায় ২০০ গজ পূর্ব পাশের ঘাসের জমি থেকে আদিল মোহাম্মদ সোহানের (৮) লাশ মাটিচাপা অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ মে ) সকালে পৌর এলাকার রুদ্রগাঁও এলাকার তালুকদার বাড়ির পাশে একটি পরিত্যাক্ত ঘাসের জমি থেকে মাটিতে ফুতে রাখাবস্থায় তার মরহেদ উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ১৫ মে সোমবার সোহান প্রতিদিনের ন্যায় মাগরিবের নামাজ পড়তে যায় বাড়ির সামনে একটি মসজিদে। নামাজ শেষে সময় মতো বাড়িতে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি,স্বজন ও সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে শিশুটির বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় জিডি (১০৬৪, তাং-১৬.৫.২৩) করেন।
পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে বাড়ির বৃদ্ধা মহিলা রেনু বেগম (৭০) বাড়ির পাশের একটি গাব পাড়তে গিয়ে তিনি দুর্গন্ধ পেয়ে ও মাছির ব্যাপক উপস্থিতি দেখে ভয় পায়। এরপর সোহানের জেঠা মনির হোসেনকে গিয়ে ঘটনা খুলে বলেন।
এ সময় মনির হোসেন ও বাড়ির অন্যান্য লোকজনসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটিচাপা অবস্থায় শিশুটির লাশ দেখতে পায়। এসময় প্রতিবেশিরা এসে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিখোঁজ সোহানের বাবা আনোয়ার হোসেন কান্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন, সোহান প্রতিদিনই বাড়ির সামনে নামাজ পড়তে যায়। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণপর ফিরে আসতো। কিন্তু শুক্রবার সে ফিরলো লাশ হয়ে। সোহানের মা নিজ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার সংবাদ পেয়েই চিৎকার দিয়ে হাউমাউ করে কাদছে আর ছেলেকে হত্যার বিচার প্রার্থনা করছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল মান্নান বলেন, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারনে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শিশু আদিল মোহাম্মদ সোহানের (৮) মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ বিভাগের সকল টিম একত্রিত হয়ে কাজ করছেন।
স্থানীয়দের দাবি, খুব দ্রুতই শিশুটির হত্যার রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।
শিশু আদিল মোহাম্মদ সোহানের (৮) লাশ উদ্ধারকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি দেবনাথ, সিআইডি, ডিবি, পিবিআই ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।