নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্ষায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীর পশ্চিমে চরাঞ্চলের সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। ভাঙনের কবলে পড়ে নদী ও খালের বিভিন্ন অংশে মানুষের বসাবসা। যার কারণে ইউনিয়ন পরিষদে এসে সরকারি ভাতা উত্তোলন করা সম্ভব হয় না।
করোনাকালীন এই সময়ে চেয়ারম্যানের উদ্যোগে ইঞ্জিনচালিত নৌকাতে বসেই এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ও প্রতিবন্ধী ভাতা নিয়েছেন নারীরা।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চাঁদপুর সদর উপজেরার রাজরাজেশ^র ইউনিয়নের বাঁশগাড়ী এলাকায় নৌকায় সুবিধাভোগী ৮ থেকে ১০জন করে নারীদের উঠিয়ে ভাতার অর্থ তুলেদেন চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী। টাকা উত্তোলন শেষে আবার গন্তব্যে পৌঁছে তাদের।
এভাবে গত ৪দিন ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা, মুগাদি, গোয়াল নগর, রায়েরচর এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভাতা বিতরণ করেছেন চেয়ারম্যান। বিতরণকালে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বলেন, আমাদের ইউনিয়নে বয়স্কা ভাতা পাচ্ছেন ৬৫০জন, বিধবা ভাতা ২৩২জন, প্রতিবন্ধী ভাতা ১৪৪জন এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা এককালীন ১২৭জন। চরাঞ্চলে পদ্মা-মেঘনার ভাঙনে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। যার কারণে ইউনিয়ন পরিষদে এসে ভাতা উত্তোলন করা সম্ভব না। এই কারণে ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের জন্য ৪ এলাকায় ব্যাংক এশিয়ার শাখা করে দিয়েছি। সেখান থেকে সুবিধাভোগীরা তাদের ভাতা উত্তোলন করবে। আর যারা বিচ্ছিন্ন চরে তাদেরকে স্বাস্থবিধি মেনে নৌকা উঠিয়ে ভাতা বিতরণ করছি।
তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকার কর্মহীন ৭শ’ জনকে ৫শ’ টাকা করে দিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে ওইসব অর্থ তাদেরকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হবে। এছাড়া ঈদের পূর্বে সরকার দু:স্থ পরিবারকে বিজিএফ এর মাধ্যমে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। সেটিও খুব শীঘ্রই চলে আসবে।