কে এম নজরুল ইসলাম :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ভ্যানে করে মাইক বাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে কমদামি আম। কেউ বিক্রি করছে ৩ কেজি আম ১০০ টাকায়, কেউবা ৪ কেজি দিচ্ছে ১০০ টাকায়। ফলের স্থায়ী দোকানগুলোতে অবশ্য কমদামের পাকা আমগুলো তেমন বিক্রি হচ্ছে না। ফুটপাতে, ঝুড়িতে, ভ্যানে করে যে পাকা আমগুলো বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোই মূলত নামমাত্র দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ভুরিভুরি পাকা আম আসছে রাজশাহী থেকে। লকডাউনের কবলে পড়ে ক্রেতা সংকট দেখা দিলেও অল্প দামে আম ক্রেতার সংখ্যা নেহাত কম নয়। দেদারসে আম কিনছেন হাট-বাজারে আগত সবাই। অনেক ক্রেতা বলছেন আম সুস্বাদু নয়। ভেতরে নরম হলেও নেই পাকা আমের স্বাদ। অনেক ক্রেতার দাবি, এগুলো রাজশাহীর আম নয়।
উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের নয়াহাট বাজারে আজ (২ জুলাই) শুক্রবার ছিল হাটের দিন। সরকার নির্দেশিত কঠোর লকডাউনের ভেতরও এখানে ফুটপাতে প্রায় ২০টি আমের দোকানে ফজলি ও লকনা আমের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আম কেনার জন্য ক্রেতা সাধারণের ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে। সাধারণত এই আমগুলোই কমদামে বিক্রি করছেন তারা।
সিজনাল আম ব্যবসায়ী মো. লিটন মিয়া হাত মাইকে ডেকে ডেকে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। নয়াহাট কলেজ রোডে ঝুড়িভর্তি পাকা আম বিক্রি করছিলেন তিনি এবং ওনার পার্টনার। কী জাতের আম ও দাম কত জানতে চাইলে বলল, ‘এটা ফজলি আম। প্রতি কেজি আম ২০/২৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।’
ইমান হোসেন গাজী নামের এক ক্রেতা বলেন, লকডাউনের মধ্যে ইনকাম নাই, তবুও আম কেনার জন্য মানুষের ভিড়। এখন যে আম পাওয়া যাচ্ছে, সেটা খেতে খুব একটা টেস্টি না। তিনি আরও জানান, কয়েকদিন আগেও ৮০/৯০ টাকা কেজি দরে আম কিনেছিলাম। কাটার পর দেখেন ভেতরে নরম, খাওয়াই যায় না। কিন্তু এখন তো দাম আরও কম।
জাহিদুল ইসলাম নামে আরেকজন ক্রেতা অভিযোগের সুরে জানালেন, এখন তো অনেক আমের ভেতরে সাদা সাদা পোকাও পাওয়া যায়। তাই খুব সাবধানে ভেবেচিন্তে আম কিনি, আম খাই।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সচেতন মানুষ ডা. মমিনুল ইসলাম বললেন, কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সবাই শুধু আম কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কারো মুখেই মাস্ক নাই।
উপজেলার একজন কৃষি অফিসার জানালেন, বাজারে অনেক প্রজাতির আমই পাওয়া যায়। এগুলো থেকে ভালো আম বাছাই করে না খেলে মানুষ নানাপ্রকার রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মানুষকে সচেতন হতে হবে।