নিজস্ব প্রতিনিধি :
বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ পাট গবেষনা ইনস্টিটিউট এ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারির চাকুরি নিলেন মোজাম্মেল হক। দীর্ঘ ১৮ বছর এ জালিয়াতির খবর প্রকাশ পাওয়ায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার বাগান বাড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সদস্য মোজাম্মেল হক জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর চাকুরি নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গেলে বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য জানা যায়, ১৯৭৮ সালে আদমজী জুট মিলে চাকরিতে যোগদান করেন কিন্তু ১৯৯৭ সালে ১৯ চাকরি শেষে নির্বাচন করার জন্য তার নিজ গ্রাম মতলবে উত্তরে চলে আসেন এবং ১৯৯৭ সালে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন করে জয় করার ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তিনি জাল জালিয়াতি করে তার বয়স কমিয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণির একটি জাল সার্টিফিকেট নিয়ে ২০০৩ সালে সে আবার বাংলাদেশ পাট গবেষনা ইনস্টিটিউট এর তৎকালিন সময় ডাইরেক্টর কামাল হোসেনের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য গোপন করে পাট গবেষনা ইনস্টিটিউটে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে চাকুরি নেন। তখন তার বয়স ছিল ৪৯ বছর, এই বয়সে তিনি কিভাবে সরকারি চাকুরি পান তা নিয়ে এলাকার মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
এছাড়া তার স্ত্রীর বয়সও গোপন করে জালিয়াতি করেন। তথ্যে আরো জানা যায়, তার জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ৩০ মে ১৯৭৮, যিনি আদমজী জুট মিলে যোগদান করেন ১৯৭৮ সালে তাহলে তার জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালে হয় কিভাবে। ওনার বর্তমান বয়স ৪৩ বছর।
তার স্ত্রী রাণী বেগমের জন্মসনদ ও ভোটার তালিকা অনুযায়ী ২৭ মে ১৯৮০ই। মানে ৪১ বছর তার বড় মেয়ে মর্জিনা বেগম এসএসসি পরীক্ষা দেন ২০০২ সালে বর্তমান তার বড় মেয়ের বয়স ৩৬ বছর, মার মেয়ের বয়স ৫ বছর ব্যবধান।
এছাড়া তার দ্বিতীয় মেয়ে বয়স ২০ মে ১৯৯১, তার বর্তমান বয়স ৩০ বছর, তৃতীয় মেয়ে শাহিনা আক্তারের বয়স ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩, তার বয়স ২৮ বছর এবং তার ছোট ছেলে রাসেল যার জন্ম ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭, ২৪ বছর।
এ বিষয়ে মোজাম্মেল হকের সাথে মুঠোফোনে কয়েক দফা কল করে না পেয়ে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ করা হলেও তিনি কোন যোগাযোগ করেনি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয় মুঠোফোনে কথা হয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মাহমুদ আল হোসেন বলেন, অফিস খোলার পরে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।