জহিরুল ইসলাম জয় :
দেশে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হলেও সীমান্তবর্তী এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের সদাচরণের অভাবে দুর্ভোগে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্ধাদের। এমনি এক বাস্তব দুর্ভোগের চিত্র দেখা যায়, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি কাঁচা রাস্তার। ডাকাতিয়া নদীর চর থেকে এনায়েতপুর মোহাম্মপুর রাস্তার মাথা পর্যন্ত এক কিলোমিটার সোনাচোঁ গ্রামের রাস্তা।
গ্রামের দুই পাশে জনবসতি মাঝপথে রাস্তাটি দিয়ে দৈনিক শত শত মানুষের চলাচল। বর্ষা ও বৃষ্টির পানিতে ছোট বড় প্রায় অধ্যশত গর্তে কাদাঁয় একাকার। এ সময় একটি রিক্সা চলাচল দূরের কথা পায়ে হেটে চলা পর্যন্ত অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যে গ্রামবাসী ইটের কণা ও বালু পেলেও অতিবৃষ্টিতে তার স্থায়িত্ব থাকে না।
সোনাচোঁ গ্রামের ডাক্তার বাড়ি, বেপারী বাড়ি, মিজি বাড়ি, হাজী বাড়ি, মৌলভী বাড়িসহ প্রায় ২০টি বাড়ির ৫ হাজার মানুষের চলাচল। গত কয়েক বছর পূর্বে রাস্তাটির নাম্বার উপজেলায় জমা পড়লেও সরকারিভাবে কোন অনুদান পড়তে দেখেনি স্থানীয়রা।
এলাকার ফারুক আহমেদ, জসিম, তাফাজ্জল, সাদ্দাম, মাসুদ, রিয়াজ, মানিক, মাহমুদা বেগম বলেন, আমরা গ্রামবাসী মিলে কয়েকবার ইটের কণা ফেলেছি। ইতিমধ্যে শাহরাস্তির টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল হোসেন তার ব্রিকফিল্ড থেকে কয়েক গাড়ী ইট ও রাবিশ দেওয়ায় হাটার মত ব্যবস্থা হয়েছে। সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের সৃদৃষ্টি কামনা করছি যেন আমাদের গ্রামের এ এক কিলো রাস্তা পাকাকরণ করে দেয়।
এ বিষয়ে টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম মানিক বলেন, রাস্তাটিতে কর্মসৃজন প্রকল্পের মাটির কাজ করেছি। তাছাড়া পাকা করনের জন্য এলজিআইডিতে আবেদ দেওয়া আছে।