তালহা জুবায়ের :
ময়মনসিংহের রুমা অপহরণ মামলায় খালাস পেলেন চাঁদপুরের আলোচিত সিরিয়াল কিলার রসু খাঁ। রোববার দুপুরে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ২০০৫ সালের ৬ জানুয়ারি রুমার বাবা গিয়াস উদ্দিন চাঁদপুর মডেল থানায় অজ্ঞাত নামা আসামীর নামে অপহরণের এই মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে পুলিশ রসু খাঁকে আসামি করে।
মামলার ৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পিপি সাইয়েদুল ইসলাম বাবু ও এপিপি খোরশেদ আলম শাওন।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি খোরশেদ আলম শাওন বলেন, ময়মনসিংহ জেলার নন্দাইল উপজেলার পাচরুকী গ্রামের গ্রামপুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে রুমা। রুমা ঢাকায় তার বড় ভাই বুলবুলসহ একটি গার্মেন্টসে কাজ করত। তারা উত্তরা আজিমপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। এ সময় এক চায়ের দোকানদারের সাথে তার পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে ওই লোকটি রুমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর ফুসলিয়ে লঞ্চে করে চাঁদপুরের বালিয়া ইউনিয়নের চাপিলা গ্রামে নিয়ে যায়। পরে ওই লোকের মামা বাড়িতে উঠায়। এ সময় রুমা জানতে পারে ওই লোকটি বিবাহিত এবং তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে তার সাথে রুমার দ্বন্দ্ব লাগে।
পরদিন ঢাকা যাওয়ার কথা বলে তার মামা বাড়ি থেকে বের হয়। রাত প্রায় ১১টার দিকে চাপিলা বিলের মাঝে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া শুরু হলে ওই লোকটি তার সাথে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে রুমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ অভিযোগে তদন্তে নেমে রসু খাঁকে আসামি করে।
আলোচিত সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তার মৃত্যুদন্ড, দুইটিতে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। বাকি ৬টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।