নিজস্ব প্রতিবেদক :
লকডাউনে চাঁদপুর জেলা শহরের জীবনযাত্রা থমকে গেছে। মার্কেট ও বিপণী বিতান বন্ধ থাকায় শহরে মানুষের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র কালিবাড়ি এলাকার চিরচেনা যানজট একদিনেই উধাও হয়ে গেছে। রাস্তায় জরুরী পণ্য ও সেবার কিছু যানবাহন চলাচল করলেও গণপরিবহন নেই। কিছু রিক্সা-অটোবাইক চলাচল করলেও রাস্তায় পথচারী তার চেয়ে বেশি।
সোমবার ( ২৮ জুন) সকাল থেকেই চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিধিনিষেধে মেনে চলতে তৎপরভাবে মাঠে কাজ করছে পুলিশ বিভাগ। একটি রিকশায় একজনের বেশি যাত্রী উঠতে দিচ্ছে না পুলিশ। জরুরী পণ্য ও সেবায় নিয়োজিত গাড়িও পর্যবেক্ষণ এবং যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
কামাল হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, জরুরী প্রয়োজনে বের হয়েছি। তবে রিক্সাচালকরা বেশি ভাড়া চাচ্ছে। পুলিশ ১জনের বেশি যাত্রী রিক্সায় উঠতে দিচ্ছে না। এ কারণে দুই ভাই দুই রিক্সায় উঠেছি।
চাঁদপুর ট্রাফিক পুলিশের টিআই জহিরুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য শহরের ৪টি স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট করা হয়েছে। এছাড়া ২টি মোবাইল টিম শহর প্রদক্ষিণ করছে।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে আগামী ৩ দিনের জন্য বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে। এই বিধিনিষেধ কার্যকর করতে মাঠে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার নির্দেষিত লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে। নিজে ও অপরকে করোনা থেকে বাঁচাতে লকডাউন মেনে চলার জন্য জেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।