নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকার ঘোষিত সাত দিনের কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বাস্তবায়নের জন্য চাঁদপুরে প্রশাসন কঠোর ভ‚মিকায় রয়েছে। চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট-পেন্নাই সড়কের মোড়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্ট বসিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। যারাই অপ্রয়োজনে কাজে রাস্তায় বের হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ প্রশাসন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিব আহাম্মেদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগোযুক্ত ঢাকা মেট্রো গ ৪৩-১৮৫৮ নাম্বারের হোন্ডা কোম্পানির সরকারি গাড়ি দিয়ে যাত্রী পরিবহন করার সময় চাঁদপুর বাবুরহাটে চেকপোস্টে ট্রাফিক পুলিশ আটক করে।
এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলীর আত্মীয় পরিচয়ে প্রবাসী পরিবার গাড়ি দিয়ে চাঁদপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। পরে পুলিশ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অবশেষে গাড়িটির কাগজপত্র নিয়ে মামলা করে দেন।
গাড়িচালক পুলিশকে জানায়, লকডাউন চলাকালীন সময় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিব আহাম্মেদ তার প্রবাসী আত্মীয় চাঁদপুর থেকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য গাড়িটি পাঠায়। সম্পূর্ণ অনিয়ম হলেও পুলিশের ভয়ে তিনি সরকারি গাড়িটি পাঠিয়ে তার স্বজনদের নেওয়ার জন্য এই কাজটি করেছে। তবে গাড়িটি গণপূর্ত বিভাগের সরকারি গাড়ি এটি ঢাকায় সরকারি কাজে ব্যবহার হয়।
এ বিষয়ে গাড়ি চালকের কথা মতো গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয় দেওয়া তানজিব আহমেদের মুঠোফোনে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়িটি গণপূর্ত বিভাগের সরকারি গাড়ি তবে লকডাউন হওয়ার কারণে নিজের আত্মীয়কে চাঁদপুর থেকে ঢাকা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। এটি অনিয়ম হয়েছে এ রকম ভুল আর হবে না বলে জানান।
এ গাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য পরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ও মডেল থানার পুলিশকে মুঠোফোনে অনুরোধ করেন। তারপরও লকডাউন থাকার কারণে গাড়িটির কাগজপত্র নিয়ে মামলা করে পুলিশ।
পুলিশের কাছে নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয় দেওয়া তানজিব আহমেদের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৬৭০৬৪৫৪৯০ যাচাই করে জানা যায়, ওই ব্যক্তিটি নির্বাহী প্রকৌশলী না। তিনি হচ্ছেন মোহাম্মদ ফিরোজ হাসান। মূলত ঢাকা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাম ভাঙ্গিয়ে পুলিশের সাথে প্রতারণা করে সরকারি গাড়ি দিয়ে যাত্রী পরিবহন করার চেষ্টা করে।