হাইমচরে ৩০ মিনিটে ৪ শতাধিক মাছচাষীর স্বপ্ন বিলীন

খুরশিদ আলম :
হাইমচর উপজেলার মধ্যচরের সাহেবগঞ্জ, নিউচর, বাহেরচর, মিয়ারবাজার, ঈশানবাল, গাজীপুর, চরভৈরবী, আলগী উত্তর ও দক্ষিনের ৫ শতাধিক পুকুর ও ঝিলের মাছ বুধবার বিকেলে আকস্মিক জোয়ারে ভেসে গেছে।

বুধবার বিকেল ৪টা হতে সাড়ে ৪টা! আকস্মিক জোয়ার মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে অস্বাভাবিক জোয়ারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পুকুর ও খামারগুলো। এতে হাইমচরের প্রায় ৪ শতাধিক মাছচাষীর স্বপ্ন বিলীন হয়ে গেছে। যা টাকার অংকে প্রায় ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।

নীলকমলের মধ্যচরের বাহের চরে মৎস্যচাষী মুনছুর পাটওয়ারী কান্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন, ভাই আমার সব শেষ হয়ে গেছে, আমার জীবনের অর্জিত সম্পদ ও ধারদেনা করে মাছের প্রকল্প করেছি। যা সকলেই জানে, এক নিমিষেই আমার সব চলে গেল, আমার ছোট-বড় ৮ ঝিলে প্রায় ১ কোটি টাকার মাছ ছিল।

তিনি বলেন, স্বাভাবিকের চেয়ে ৬/৭ ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারে ফলে সকল খামার ভেসে গিয়ে মাছ চলে গেছে, আমি এখন সর্বশান্ত, মাছের খাদ্য ও মাছের পোনা ক্রয়ের টাকা পরিশোধ করার কিছুই রইল না।

একই এলাকার মৎস্য খামারী সুরুজ ছৈয়াল, বাচ্চু সরকার, মামুন মিজি, মিনু মোল্লা, শিকদার মৎস্য খামার পরিচালক নাজমুল আলম, ফারুক গাজী জানান, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মৎস্য খামারে এমন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

আলগী উত্তরের আব্দুর রহমান, জিল্লু আখন, সফিক দেওয়ান জানান এলাকার সব মাছ ভেসে গেছে আমরা সর্বশান্ত। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক গাজী বলেন, বেড়ি বাঁধের ভিতরে এবং বাইরে সব জায়গায় পানি মৎস্যচাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো মিজানুর রহমান জানান, উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ১ হাজার ৬শ’ পুকুর ও খামারে মাছ চাষ হয়। বুধবারের অস্বাভাবিক জোয়ারের ফলে ৬ ইউনিয়নে প্রাথমিক তথ্য মতে প্রায় ২৫৫জন চাষীর ৪৩০টি পুকুর ঝিলের মাছ ও অবকাঠামো ক্ষতি হয়েছে, যা টাকার অংকে ৬ কোটি টাকার বেশি হবে। তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন