খালেকুজ্জামান শামীম :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। এবার সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতালের চিকিৎক রনি চন্দ্র মজুমদার ও সাদিয়া আফরিনের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতালের চিকিৎসক রনি চন্দ্র মজুমদার, সাদিয়া আফরিন ও অজ্ঞাত ৩-৪জনকে বিবাদী করে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী মো. ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় হোসেন উদ্দিন হাজী বাড়ির মো. ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী নাজমা আক্তারের ডেলিভারি সংক্রান্ত ব্যথা উঠলে গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই সময় চিকিৎক রনি চন্দ্র মজুমদার ও সাদিয়া আফরিন সিজারের প্রস্তুতি নেয়। সিজারে ইউসুফ-নাজমা দম্পতির জন্ম হয় পুত্র সন্তান।
অভিযোগে উল্লেখ হয়, গত ২৬ এপ্রিল নবজাতকের বাম পায়ে সমস্যা দেখা দিলে এক্স-রে করালে নবজাতকের বাম পায়ের হাটুর উপরের হাড় ভাঙা দেখা যায়। অভিযোগে ভুক্তভোগী নাজমা আক্তারের বরাত দিয়ে বলা হয়, ডেলিভারির সময় ভুল করে হাটুর উপরের অংশ ধরে টানা-হেচঁড়া করার সময় হাড় ভেঙে যায়। এ বিষয়ে চিকিৎসাকদের জানানো হলে কোনো উত্তর না পেয়ে হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ।
গতকাল শনিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎক রনি চন্দ্র মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে এই সিজারের ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন। আরেক চিকিৎসক সাদিয়া আফরিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা মো. আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ হয়েছে বিষয়টা থানা বুঝবে।
জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নাঈম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।