নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাধীনতার ভাস্কর্য অঙ্গীকার সংস্কারের নামে বিকৃতির প্রতিবাদ, মুক্তিযুদ্ধের বদ্ধভূমি বড়স্টেশনে বঙ্গবন্ধুর নামে শিশু পার্ক নির্মাণ ও জাতীয় পতাকা বিকৃতির প্রতিবাদে চাঁদপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের অপসারণ দাবি করেছেন।
বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের সামনে বাংলাদেশ শিল্পী সমাজের ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অঙ্গীকারের প্রকৃত রূপ ফিরিয়ে দিতে আল্টিমেটাম দেয় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা। অন্যথায় ঢাকাসহ সারাদেশে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন বক্তারা। পরে তারা জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে স্মারকলিপি পেশ করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। তিনি বলেন, কোন অবস্থাতেই ভাস্কর্যের রূপ পরিবর্তন করা যায় না। যদি করতে হয়ে তার জন্য জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের সাথে বসে সভা করে তা করতে হবে। আমি শুনেছি চাঁদপুরে স্বাধীনতার স্মারক ভাস্কর্য অঙ্গীকারে সাদা রং করা হয়েছে যদি তা করা হয় তাহলে তা খুবই দু:খজনক বিষয়।
অঙ্গীকারের ভাস্কর শিল্পী সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদের কনিষ্ঠ পুত্র সৈয়দ আবদুল্লাহ জহী তার বক্তব্যে বলেন, আমার বাবার জন্য আমরা গর্বিত। আমার বাবা ‘অপারাজেয় বাংলা’ ভাস্কর্যের ভাস্কর। তিনি চাঁদপুরে ১৯৮৮-৯৯ সালে `অঙ্গীকার` তারই নকশায় নির্মিত হয়। দীর্ঘ সময় নামফলকে আমার বাবার নামটি ছিল না, তবে বর্তমানে নামফলকে বাবার নামটি লিখা হয়েছে তার জন্য আমি কর্তৃপক্ষকে ধনবাদ জানাই। তবে কিছু দিন পূর্বে অঙ্গীকারের প্রকৃত রূপ সিমেন্ট ও পাথরের রং পরিবর্তন করে সাদা রং করা হয়েছে। এটি সংস্কারের নামে সাদা রং করে ভাস্কর্যের মূল রূপ নষ্ট করা হয়েছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন চারুশিল্পী মইনুদ্দিন লিটন ভূঁইয়া, নাট্যকার ও নির্দেশক জিয়াউল আহসান টিটু, চারুশিল্পী মিজানুর রহমান সরকার ও সাংস্কৃতিক সংগঠক রফিক আহমেদ মিন্টু প্রমুখ।