অনৈতিহাসিক : করোনার বাইরে ভাববার সুযোগ কোথায় ?

মুহম্মদ শফিকুর রহমান :

প্রখ্যাত সাংবাদিক কলামিস্ট ভাষা সৈনিক শ্রদ্ধেয় আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন লিখতে বসলে করোনার বাইরে ভাববার কোনো সুযোগ নেই। পরিস্থিতিটাই এমন। পরিস্থিতি যেভাবে দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে তাতে করে অন্য কিছু ভাববার কোনো সুযোগ নেই। কিছু লিখতে হলে করোনা বা কোভিড ১৯ ভাইরাস নিয়ে লিখতে হবে।

করোনার প্রতিরোধক প্রতিশোধক কোনটাই এখন পর্যন্ত কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি।কিন্তু জীবিকাকেতো আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে শুইয়ে রাখা যাবেনা। এ যে করোনা হোক বা না হোক মানুষের বেঁচে থাকা না থাকার সাথে সম্পর্ক। একটা কথাইতো আছে পেটে খেলে পিঠে সয়। তাই পেটে খাবার জন্য মানুষের জীবিকার ক্ষেত্রগুলোকে আইসোলেশন থেকে বের করে সচল করতে হবে। নইলে করোনার চেয়েও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে মানুষের ক্ষুধা।কেবল ক্ষুধা নয় বনেবাদাড়ে জীব-বৈচিত্র নিঃশেষ হতে হতে প্রকৃতির উপর বিরুপ প্রভাবে নতুন কোন আসমানী বালার জন্ম নেবে।

কোভিড ১৯ বা করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে ১০০ দিন চলে গেছে। এই ১০০ দিনে কেবল বাংলাদেশেই দেড় হাজারের অধিক প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এটা বিভিন্ন হাসপাতালে রেকর্ডের হিসেব। রেকর্ডের বাইরে অর্থাৎ যারা হাসপাতালে যাননি বা গিয়েও জায়গা পাননি ঘরে বসে কাতরাতে কাতরাতে মারা গেছেন তাদের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে মনে করা যায়।

সর্দি-কাশিতে মারা যাচ্ছে, জ্বরে মারা যাচ্ছে, অক্সিজনের অভাবে মারা যাচ্ছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছে, ব্রেন স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে সেগুলোতো হিসেবে ধরা হচ্ছে না। যত নামই দেয়া হোক এসবও কোভিড ১৯ বা করোনার শিকার সেটি একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাবেনা। সরকারি বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবটিও হেলা করার নয়:
: বাংলাদেশ মৃত্যু – ১৫৮২ সনাক্ত ১,২২,৬৬০
: বিশ্ব মৃত্যু – ৪,৮২,০৯৭ সনাক্ত ৯৪,৪১,৯১২

হিসেবটি গত বৃহস্পতিবার বা ২৫ জুন ২০২০ এর। তবে এই হিসেব বা পরিস্থিতি (আগেই বলেছি) অফিশিয়াল। এই হিসেবেও বাংলাদেশে বেশ ক’জন বুদ্ধিজীবী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। যেমন আমার স্যার শ্রদ্ধেয় প্রফেসর ডঃ আনিসুজ্জামান প্রফেসর ডঃ জামিলুর রেজা চৌধুরী সাংবাদিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী (বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতীয় প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক যে প্রতিবাদী কার্যক্রম আমরা চালিয়েছি তার অন্যতম পরামর্শক ও অভিভাবক) এরা মুক্তিযুদ্ধেও বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই করেছেন। লড়াই করেছেন সকল অনাচার অবিচার সাম্প্রদায়িকতা দুর্নীতি ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে। জীবনভর।

মুক্তিযোদ্ধা রাজনৈতিক মোহাম্মদ নাসিম বদরুদ্দিন আহমদ কামরান শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ চলে গেলেন এমন একটা সময়ে যখন তারা ধীসম্পন্ন মানবিক প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোভিড ১৯ বিরোধী লড়াইয়ে প্রথম সারির সৈনিক ছিলেন। এমনি সৈনিক সারাদেশে আরো অনেক চলে গেছেন।

সপরিবারে আক্রান্ত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক সহ ৬ জনের ওপর এমপি সাংবাদিক কলামিস্ট আবেদ খান উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ঘরে ঘরে যার নাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের দ্রুত সুস্থ করে তুলুন এই দোয়া করি। টেলিফোনে খবর নিয়েছিলাম বন্ধু সহকর্মী আবেদ খানের। আবেদ বলেছিল সে ভালো হয়ে গেছে তবে আরো কয়েকদিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।

কিন্তু গত ২৫ জুনের কাগজে দেখলাম আবেদের অবস্থার অবনতি।গত সোমবার থেকে জ্বরে সাথে পুনরায় শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা রক্তের তারল্য কমে যাওয়ায় অবনতি ঘটে। তবে এখনো হোমকোয়ারান্টিনে আছেন। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার টেলিফোনে খোঁজ নিয়েছিলাম তিনদিন আগে। বলেছেন ভাল আছেন।

আমি জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর বন্যাকে প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দাওয়াত করে নিয়ে এসেছিলাম। বন্যার সাথে সেদিন আরো ছিলেন তরুণ সংগীতজ্ঞ বাপ্পা মজুমদার ও নজরুল সংগীত ফেরদৌস আরা। বন্যা সবাইকে নিয়ে জাতীয় সংগীত গেয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি সম্ভবত এখন সঠিক মনে পড়ছেনা দুটি গান গেয়েছিলেন। তারমধ্যে একটি আনন্দ লোকে মঙ্গল আলোকে বিরাজ সত্য সুন্দর। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।

তবে সেদিন বন্যা একটি দুঃখের কথা বলেছিলেন যে ৩৬ বছর পর সভাপতি শফিক ভাই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলে এসেছি। কারণ ২ হাজার আগে প্রায় ২৯ বছর প্রেসক্লাবের ম্যানেজমেন্টে ছিল বিএনপি-জামায়াত রাজাকার-আলবদর। রুচির দিক থেকেও তারা নিম্নমানের শিল্পীও আমন্ত্রণ করতেন তেমনই। যেসব শিল্পী তখন আনা হতো তাদের গান শোনার জন্য নয় দেখার জন্য আনা হতো।করোনার ভিকটিমদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ডাক্তার আর পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। তারা ডিউটিতে থাকা অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়।

বিশ্বব্যাপী করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও একশ্রেণীর লোক আছে যাদের কারো চেহারা মোল্লাদের মত কিছু আছে ক্লিন শেভড তারা দেখলাম ইউটিউব ভীষণ খুশি।মোল্লা চেহারার একজনতো বলেই ফেললেন মোহাম্মদ নাসিম কোমায় যাবার মধ্যে আওয়ামী লীগের ওপর থাবা শুরু হয়েছে।ক্লিন শেভড একজন মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর সাথে রাজাকার সাকা চৌধুরীর ফাঁসিতে মৃত্যু এবং দাফনের পর মানুষের প্রতিক্রিয়া সাথে তুলনা করেছিল।

এরপর তাদের চিনতে খুব কি কষ্ট হবে। কেউ দাবি করেন বিশেষ করে জামাত রাজাকারের ছেলে তাদেরতো তখন জন্মই হয়নি তারা রাজাকার হলেন কিভাবে? হা একথার পেছনে যুক্তি আছে।যাদের জন্ম ৭১ এর পর তাদের রাজাকার বলার কথা নয় কিন্তু রাজাকার বা জামাত শিবির যে আদর্শ বা ধারণায় বিশ্বাসী সেই আদর্শ বা ধারণা যারা বিশ্বাস করেন এবং ধারণ করেন তারা অবশ্যই রাজাকার-আলবদর তথা জামাত-শিবির।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকটিকে দেখা যায় সেটি একজন নারী এবং নারীদের সম্পর্কে কথা বলা ঠিক না হলেও কিছু কিছু ইস্যু আছে বলতেই হবে।এই নারী ছিলেন একজন হিন্দু, এক টাকা আনা ব্যবসার মালিক মুসলমানকে বিয়ে করেন মুসলমান হয়ে।এইভাবে তার তথাকথিত মুসলিম স্বামীর নিউইয়র্ক এর বড় ব্যবসা নিজের নামে নিয়ে দখল করে তাকে তালাক দিয়ে এখন না হিন্দু না মুসলিম -হিজড়া।

এই নারী প্রতিনিয়ত জামাত-শিবিরের পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকেন। দুই হাত নাড়িয়ে নাচিয়ে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা নোংরা বিষেদগার করতে থাকেন। ওর চেহারা সূরও প্রায় সেফুদার মতই। তবে সেফুদা থাকেন ভিয়েনায় আর এই নারী থাকেন সম্ভবত নিউইয়র্কে। এদের মধ্যে সামান্যতম বিবেক থাকলে একটা প্রশ্ন করতে চাই জাতির পিতার নেতৃত্বে মোহাম্মদ নাসিম কামরান একাত্তরের যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন না করলে কি এভাবে কথা বলতে পারতো। প্রশ্নই উঠেনা পাকিস্তানি মিলিটারি জান্তার বুটের লাথিতে বাপবাপ বলে ক্ষমা চাইতে হতো। যাকগে ইতর শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা বেশি নয় ভাল দেশ প্রেমিক জনগণের সংখ্যা অনেক বেশি। দু’চারটা শিবির হিজড়ার কথায় কী আসে যায়?
• এখন কোভিড বা করোনা থেকে মুক্তিই বড় কথা
• এর সাথে জীবন জড়িত
• এর সাথে জীবিকা জড়িত
• এর সাথে মানুষের মুখে অন্ন জোগাড় জড়িত
• এর সাথে উৎপাদন জড়িত
• এর সাথে কৃষক জড়িত
• এর সাথে শ্রমজীবী মানুষ জড়িত
• এর সাথে জাতির ভবিষ্যৎ শিশু-কিশোরদের জীবন ও শিক্ষা জড়িত
• এর সাথে বিদেশে জব অপরচুনিটি জড়িত
• এর সাথে শিল্পায়নের প্রসার জড়িত
• এর সাথে জিডিপি জড়িত
• এর সাথে মাথাপিছু আয় জড়িত
• এর সাথে শিল্পায়ন জড়িত
• এর সাথে পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রকল্পগুলো জড়িত
• এর সাথে মধ্যম আয়ের থেকে উন্নত অর্থনীতিতে উত্তরণ জড়িত
• এর সাথে বিদেশি রেমিটেন্স জড়িত
• এর সাথে সার্বিক বা সমষ্টি অর্থনীতি জড়িত
• এর সাথে অর্থনীতির এগিয়ে যাওয়া জড়িত
• এর সাথে সামাজিক স্থিতিশীলতা জড়িত
• ইত্যাদি

কিন্তু বিষয়গুলোকে নেগেটিভ অর্থে নেওয়া ঠিক হবে না। বরং এর ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। করোনা আমাদের গতিপথ স্লো করে দিয়েছে। আগেই বলেছি ১০০ দিনের বেশি সময় চলে গেছে।গ্রাম শহর সর্বত্র মধ্যবিত্তের সঞ্চয় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বেশির ভাগেরই লেভেলে চলে আসতে শুরু করেছে।যারা দিন রোজগার করে দিন খায় বা বড়জোর পরদিন পর্যন্ত যেমন নির্মাণ শ্রমিক কৃষি শ্রমিক দিনমজুর তারা বাঁচবে কি করে?

তাদের অবশ্যই সরকারি ভাবে খাবার সরবরাহ করতে হবে শেখ হাসিনার নির্দেশে এরই তেমনি মানুষের ঘরে ঘরে চাল ডাল আলু পেঁয়াজ লবণ তেল চিনি প্যাকেট করে সরবরাহ করা হয়েছে হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীরা নিরীহ মানুষের ঘরে ঘরে যে প্যাকেট সরবরাহ করছে।মধ্যবিত্তের মধ্যে যাদের ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান-চাল আছে জমিতে আলু টমেটো আছে তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজ নিজ এলাকায় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে নিজের গোলার ধান চাল দিয়ে।

দুঃখের বিষয় হল যারা শত শত কোটি টাকার মালিক দেশে-বিদেশে যাদের ব্যবসা টাকা-পয়সা এই দুর্দিনে তাদের এগিয়ে আসার কথা তারা কিন্তু সেভাবে এগিয়ে আসছেন না।সামান্য কিছু নগদ অর্থ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করে চারা রোপণ করে রাখে এই চারা থেকে যাতে একদিন ফল ধরে।ইন্টারেস্টিং হচ্ছে দেশে কিছু হলে ঐ বড়লোকরা বিদেশে পালাতেন এবার কিন্তু সে রাস্তা বন্ধ। যেখানে যাবেন সেখানেও করোনা।

আমেরিকা যাবেন? সেখানেও করোনা। ব্রিটেন যাবেন সেখানেও করোনা ইউরোপের অন্য কোন দেশে যাবেন মাপ নেই। এশিয়া বা দক্ষিণ এশিয়াও আমাদের মতই। কারো কারো বাড়ি আছে আমেরিকা-বৃটেন অস্ট্রেলিয়া মালয়েশিয়া কোথায় যাবেন সব আক্রান্ত। ক্ষমা নেই। আল্লাহপাক এবার সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে তাদেরও আমাদের পাশে সানকি হাতে ভিক্ষের লাইনে দাঁড়াতে হবে। এ প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি কথা প্রতিধান যোগ্য:
: যে যত বাড়ি-গাড়ির মালিক হোন না কেন, যত পাহাড় গড়ে তোলেন না কেন মৃত্যুর পরে কোন কিছুই সঙ্গে যাবেনা। এটি যেন আমরা ভুলে না যাই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার কাজ করছেন। ২৪ ঘন্টায় কত ঘন্টা ঘুমান তা তিনি জানেন। সারাক্ষণ কাজের মধ্যে ডুবে থাকেন।করোনার কারণে এখন ভিডিও কনফারেন্সে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেবিনেট একনে ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করছেন।আমাদের সংসদ সদস্যরা কে সংসদে যাবেন কে যাবেননা কে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকবেন সেদিকেও খেয়াল রাখছেন। লকডাউন তুলে দিয়েছেন। কেউ কেউ ব্যক্তিগত পর্যায়ে এর সমালোচনা করেছেন কিন্তু উপায় কি? তারাও কি কোন পথ দেখাতে পারছেন? পারছেন না।

প্রশ্ন হচ্ছে করোনা কবে যাবে সে তো কেবল আলিমুল গাইবে আল্লাহ পাকই বলতে পারবেন। কোথাকার কোন জ্যোতিষী কি বললেন কোন সাধু বাবা কি বললেন সবই হাওয়ার উপর। কিন্তু যতদিন এই গজব আছে ততদিন আমাদের তার সাথে লড়াই করে বাঁচতে হবে। তাইতো প্রধানমন্ত্রী সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে বলেছেন। কাজ না করে পেট মাটিতে এলিয়ে দিয়েতো বাঁচা যাবেনা।

মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কিছুটা সঞ্চয় থাকে কিন্তু তার মধ্যেও গত ১০০ দিনে হাত পড়েছে। সঞ্চয়ও নিঃশেষ হবার পথে।ক্ষেতে খামারে কলে-কারখানায় কাজ করা জনগোষ্ঠীতো একদিন কাজ করে বড়জোর দুই দিনের খাবার জোগাড় করতে পারে। তাদেরতো পথে নামতেই হবে। বিকল্প নেই। ত্রান দিয়েতো আর পুরো পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যাবেনা। ইউটিউব-এ দেখলাম বিএনপি নাম ৯০ লাখের বেশি পরিবারের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেছেন। কিন্তু কোথায়? খবরের কাগজেও-তো কিছু নেই।

ঢাকা- ২৫ জুন ২০২০
লেখক- এমপি
সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব
ই-মেইল- balisshafiq@gmail.com

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন