ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের চেয়ে শক্তিশালী আর কোনো সংগঠন নেই : আবদুল তালুকদার

————–তৃণমূলের ভাবনা ————

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩নং কল্যাণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আবদুল মোতালেব তালুকদার (আব্দুল তালুকদার) বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও জনপ্রিয় আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন এই দেশে নেই। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের মধ্যকার সকল বিভেদ-দ্বন্দ্ব, গ্রুপিং ও দূরত্ব দূর করতে হবে। তিনি বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যকার বিভেদ-কোন্দল তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী-সমর্থকদেরও বিব্রত করে। এ কারণে কোনো কোনো নেতা-কর্মী-সমর্থক দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতেও আজকাল বিব্রতবোধ করেন। এখন সময় এসেছে দেশের স্বার্থে ও দলের স্বার্থে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহ প্রতিনিধিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের এখন প্রয়োজন কর্মীবান্ধব নেতা। স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য, ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক নেতা প্রয়োজন। ভালো ভালো লোকদের দলের নেতৃত্বে আনতে হবে। বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য লোকেরা দলের গুরুদায়িত্ব পেলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মান্যতার অভাবও দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ মানতে চায় না। এটা ভালো লক্ষ্মন নয়। যোগ্য ও সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমেই দলের শৃঙ্খলা ও সংগঠনকে শক্তিশালী করা সম্ভব। আমরা আশা করি, চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতাদের নেতৃত্ব প্রদান করা হবে।

আবদুল মোতালেব তালুকদার কল্যাণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ, গ্রহণযোগ্য ও জননন্দিত কর্মীবান্ধব নেতা। আওয়ামী পরিবারের সন্তান তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ১১-১২ বছর। সে সময়ে তিনি তার পিতার সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে সহযোগিতা করেন। বিশেষ করে তাদের বাড়ির একটি খালি ঘরে মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা-খাওয়া ও অস্ত্র সংরক্ষণে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন তিনি। এর বাইরে পরিবারের নারী সদস্যদের নিরাপত্তায় পাহারাদারের কাজ করেন।

আবদুল মোতালেব তালুকদার ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার ঘটনাটি তিনি তার স্কুলে যেয়ে শুনতে পান। সেই হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক ঘটনায় বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগের প্রতি তার আবেগ-অনুভূতি আরো গভীর হয়। এরপর কলেজজীবনে তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

ছাত্রজীবন শেষে ব্যবসায় মনোযোগ দেন আবদুল মোতালেব তালুকদার। বর্তমানে তিনি ঢাকার প্রতিষ্ঠিত ও সুনামধন্য একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসা ও পারিবারিক জীবনে ব্যস্ততার মধ্যেও আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে তিনি সর্বদা সক্রিয়। তার নিজ ইউনিয়ন ৩নং কল্যাণপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী গ্রামের বাড়িতে তিনি প্রতি সপ্তাহে আসেন। সেখানে ১-২ দিন অবস্থান করে রাজনৈতিক সহকর্মীর পাশাপাশি এলাকার মানুষকে সময় দেন নিয়মিত। তাদের সমস্যা-সম্ভাবনায় পাশে থাকার চেষ্টা করেন। নিজ ওয়ার্ড, গ্রাম, ইউনিয়ন ছাড়িয়ে বাবুরহাট অঞ্চলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করে আসছেন তিনি। এ কারণে দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আগ্রহ করেই তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন। যদিও তিনি পদ-পদবী ছাড়াই দলের জন্য ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য নীরবে-নিভৃতে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করেন।

শেয়ার করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)