করোনাকালেও চাঁদপুরে এক মাসে ৪২৮ কোটি টাকা র‌্যামিটেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ স্বজনদের কাছে প্রেরণ অব্যাহত রেখেছেন। চাঁদপুরের ৪ ব্যাংকের গত আগস্ট মাসে বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স অর্জন করেছে ৪২৮ কোটি টাকা। সারাদেশের মধ্যে র‌্যামিটেন্স আসার ক্ষেত্রে চাঁদপুরের অবস্থান ষষ্ঠ।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈদেশিক রেমিট্যান্স খাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অর্জনের হার অনেকটা কমে গেলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে সিশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান। তবে জুলাই মাসে কুরবানির ঈদ হওয়ায় বৈদেশিক রেমিট্যান্স খাতে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া পড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় এ তথ্য জানান।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কৃষি ব্যাংকের ২৮টি শাখায় আগস্ট মাসে বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংকের ২০টি শাখায় বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ৩০৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ২১টি শাখায় বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ৯১ কোটি টাকা এবং জনতা ব্যাংকের ১৭টি শাখায় বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ২৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।

চাঁদপুরের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্র মতে, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাঁদপুরের ২ লাখ ৫৮ হাজার শ্রমজীবী কাজ করছেন। তারা নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে র‌্যামিটেন্স তাদের নিকটতম স্বজনদের কাছে ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে প্রেরণ করে।

চাঁদপুরের প্রবাসীরা প্রতি মাসে এসব র‌্যামিটেন্স বিভিন্ন অর্থলগ্নি আন্তর্জাতিকভাবে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এসব র‌্যামিটেন্স প্রেরণ করে থাকে। কোনো কোনো ব্যাংক কেবলমাত্র গোপন একটি পিন নাম্বারের মাধ্যমেও অর্থ লেনদেন করছে এবং টাকা দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামীতে র‌্যামিটেন্স আসার হার আরো বাড়বে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)