চাঁদপুরের নদীতে ২ মাস স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে : জেলা প্রশাসক

শরীফুল ইসলাম :
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, আমাদের জেলেরা বড় ধরনের অপরাধী নয়। তারা ভুল করে নিষিদ্ধ সময়ে (অভিযানের সময়) মাছ ধরে থাকে। অভিযানের সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলে কি কি সুবিধা পাবে তা তাদেরকে ভালোভাবে বুঝাতে হবে। আমরা সব সময়ই জেলেদের স্বার্থে তথা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থেই কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে জাটকা রক্ষা কার্যক্রমে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক জেলেদের প্রসঙ্গে বলেন, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে নতুন করে জেলেদের হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। সে তালিকায় যেন মৃত জেলে বা পেশা পরিবর্তন করা জেলের নাম না থাকে। জেলেদের বাইরে যেন অন্য কেউ বরাদ্দকৃত চাল না পায়। আমি সব সময়ই জেলেদের পক্ষে। তবে দুর্বৃত্তায়ন জেলেদের পক্ষে নেই। একটা জেলে ভুল করে অভিযানের সময় যখন নদীতে নামে তখন তাকে আইনের ব্যবস্থায় আনা হয়। আর একটি জেলে যখন জেল হাজতে যায়, তখন তার পুরো পরিবারই সেই শাস্তি ভোগ করে। তাই তাদের ভালো করে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, অভিযানের সময় নদীতে নামলেই আইনি ব্যবস্থায় আনা হবে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, কোন একটা কাজ করতে প্রথমেই প্রচারনার দরকার। সেই প্রচারনার প্রচেষ্টা আগেই করতে হবে। বড় ধরনের কার্যক্রম করতে গেলে পরিকল্পনার দরকার পরে, পর্যালোচনা করে আমরা সে ধরনের একটি অ্যাকশন পরিকল্পনা করবো। জাতীয় সম্পদ রক্ষায় সমন্বিতভাবে এক হয়ে কাজ করতে হবে। চাঁদপুরে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা রক্ষার অভিযান চলাকালে নদীপথে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে জেলা প্রশাসক বলেন, সদিচ্ছা সবচেয়ে বড় জিনিস। ইচ্ছা থাকতে হবে যেন কাউকে যেন জাটকা ধরতে না দেয়া হয়। এ কার্যক্রমে আপনাদের সহায়তা অনেক দরকার। জেলেদের সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন শিকদার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, কোস্টগার্ড প্রতিনিধি মোঃ আসাদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী, আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জলিল মাস্টার, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মালেক দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মানিক দেওয়ান প্রমুখ।

বিভিন্ন এজেন্ডা ভিত্তিক আলোচনা করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি হরি, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপায়ন দাস, মতলব দক্ষিনের সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুশরাত শারমিনসহ সংশ্লিষ্ট টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যবৃন্দ।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)