চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরার প্রস্তুতি

শরীফুল ইসলাম :
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নদী পাড়ের জেলেরা। নৌকা ও জাল নিয়ে তারা ১ মে মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরতে নদীতে নামবেন। জাটকা ইলিশ রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দু’ মাস নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মেঘনা নদীর মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চরআলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১শ’ কি.মি এবং পদ্মার ২০ কি.মি. এলাকায় সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যার ৬০ কি.মি. পড়েছে চাঁদপুর এলাকায়। আর এ কারণে চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার ৫১ হাজার জেলে কর্মহীন হয়ে পড়ে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা, বহরিয়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা জাল ও নৌকা মেরামত করে ১ মে মধ্য রাত থেকে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা এলাকায় তোফাজ্জল নামের একজন জেলে বলেন, দীর্ঘ দুই মাস পর নদীতে মাছ ধরতে নামবো। এবার মৌসুমে নদীতে অনেক অসাধু জেলে জাটকা নিধন করেছে। আমাদের সব রকমের প্রস্তুতি শেষ। জেলেরা ইতোমধ্যে ঘাট এলাকায় পাড়ি জমাচ্ছেন। আশা করছি আশারূনূপ ইলিশ পাবো।

দেশের খ্যাতনামা ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, জাটকা সংরক্ষণের জন্যে সরকার দু’মাস চাঁদপুরসহ দেশের আরো কয়েক স্থানে অভয়াশ্রম কেন্দ্র ঘোষণা করে। এ সময় নদীতে যে কোনো ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মওজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়ে ছিলো। ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে জেলেরা এখন প্রস্তুত। এবার পানির গুণাগুণ ও খাদ্যের উপাদান অনেকটাই ভালো রয়েছে। করোনার কারণে জাটকা রক্ষা কর্মসুচি কিছুটা সীমাবদ্ধতায় রয়েছিল। তবুও উৎপাদন ব্যাহত হবে না। আগামি ৫ বছরে ইলিশের উৎপাদন বাড়বেই।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বলেন, সরকার ঘোষিত সকল নির্দেশনাই পালক করা হয়েছে। আশা করি ইলিশ উৎপাদন বাড়বে। আমাদের পক্ষ থেকে জেলেদের সকল রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যদিও কিছু অসাধু জেলে কর্তৃক নদীতে কিছুটা জাটকা নিধন হয়েছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন