চাঁদপুরের ৮৬৪টি করোনা টেস্টের রিপোর্ট যে কারণে অপেক্ষমান

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দেওয়ার পর অপেক্ষমান রিপোর্টের সংখ্যা আরো বেড়েছে। শুক্রবার পাঠানো ৫৭টি নমুনাসহ অপেক্ষমান রিপোর্টের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৪টি। অথচ এদিন নতুন কোনো রিপোর্ট আসেনি ঢাকা থেকে। এতে হতাশা বাড়ছে নমুনা দেওয়া করোনার উপসর্গে আক্রান্ত লোকজনের। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছেন চিকিৎসকরা।

বিপুল সংখ্যক রিপোর্ট আটকে থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ। চাঁদপুর প্রবাহকে তিনি জানান, চাঁদপুর থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ নমুনা প্রেরণ করা হয় তার মধ্যে ১০০টি নমুনা ঢাকার মোহাম্মদপুর চাইল্ড হেলথ কেয়ার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে পরীক্ষা করা হয়। বাকীগুলো ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটারী মেডিসিনে পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, চাইল্ড হেলথ কেয়ারে পাঠানো নমুনার রিপোর্ট ১/২ দিনের মধ্যেই চাঁদপুর চলে আসে। কিন্তু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন ল্যাবে পাঠানো রিপোর্ট আসতে ৮/১০ দিনও লেগে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ঢাকার অন্যান্য করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেও অতিরিক্ত সব নমুনা আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন ল্যাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি এখন বাড়তি নমুনার চাপে সময় মতো রিপোর্ট দিতে পারছে না।

সিভিল সার্জন বলেন, দ্রুত রিপোর্ট পাওয়ার জন্য আমি আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় কথা বলেছি। কিন্তু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন ল্যাবে নমুনার এত বেশি চাপ যে তারা ৪/৫ দিনেও রিপোর্ট দিতে পারছেন না। দ্রুত রিপোর্ট পাওয়ার জন্য আমি চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

এদিকে শুক্রবার চাঁদপুরে করোনা টেস্টের কোনো রিপোর্ট না আসায় জেলার করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাসহ অনেক পরিসংখ্যান অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ৫১১জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ১৮২জন, শাহরাস্তিতে ৬৩জন, হাজীগঞ্জে ৬২জন, ফরিদগঞ্জে ৬০জন, মতলব দক্ষিণে ৫৬জন, হাইমচরে ৩৩জন, কচুয়ায় ২৮জন ও মতলব উত্তরে ২৭জন।

সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ আরো জানান, শুক্রবার চাঁদপুর থেকে আরো ৬৫টি নমুনা পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। এ নিয়ে প্রেরণকৃত নমুনার সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫৬২টি। রিপোর্ট এসেছে ২৬৯৮টি। রিপোর্ট অপেক্ষমান ৮৬৪টি।

তিনি আরো জানান, জেলায় আক্রান্ত ৫১১নের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪৬জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৩২১জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ২৫৫জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২০৯জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা ৪৬জন। এছাড়া জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৫৩০১জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৮৫৫জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৪৪৬জন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)