চাঁদপুরে কোরবানীর পশুর চামড়া নিয়ে বিপাকে প্রান্তিক ব্যবসায়ী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ

মোরশেদ আলম :
চাঁদপুরে কোরবানীর পশুর চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাঁদপুরের প্রান্তিক পর্যায়ের মৌসুমী ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চামড়ার ক্রেতা না পেয়ে বিপাকে পড়েন পশু কোরবানী দেয়া মানুষজন।

সারা দিন পশুর চামড়া পড়ে থাকতে দেখা যায় রাস্তার পাশে। বিকেলে পড়ে থাকা চামড়াগুলো বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দান করে দেয়া হয়। মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃক সংগৃহীত চামড়াগুলো রাতে স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয় নামমাত্র মূল্যে।

ঈদের দিন চাঁদপুর শহরের পাড়া-মহল্লায় গিয়ে দেখা যায়, কোরবানী শেষে চামড়া রাস্তার পাশে যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে। আগের মতো দেখা যায়নি চামড়া ক্রয় করতে আসা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের। যারাও এসেছেন তাদের কম দামে তা কিনে নিয়েছেন।

বাধ্য হয়ে কোরবানির পশুর চামড়াগুলো স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দান করে দেয় অনেকে। চামড়াগুলো পেয়ে এতিমখানার কমিটি রাতেই স্থানীয় টেনারিতে বিক্রি করে দিয়েছে নামমাত্র মূল্যে। আর চামড়া বিক্রির টাকা মাদ্রাসা ও এতিমখানার এতিমদের খরচের জন্য রাখা হয়।

কোড়ালিয়ার বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর কোরবানি দিয়ে চামড়া বিক্রি করে গরীবদের দেই। আর এবার কোরবানী দিয়ে চামড়া বিক্রি করতে পারি নাই। কোন লোককে চামড়া কিনতে আসতে দেখি নাই। তাই বাধ্য হয়েই সন্ধ্যায় আমাদের এলাকার এতিমখানায় খবর দিলে হুজুর এসে চামড়া নিয়ে যায়।

পশু কোরবানি দেয়া আদালতপাড়ার মোঃ আলমগীর বলেন, আল্লাহর সন্তুুষ্টি লাভের জন্য কোরবানি দিয়েছি। এবার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী দেখা যায়নি। পরবতীতে আমরা চামড়া এতিমখানায় দান করে দিয়েছি।

চাঁদপুরে চামড়া বিক্রি করতে আসা রামপুরের আব্দুল হামিদ বলেন, খালের (চামড়া) দাম নাই। আমি যে গাড়ি ভাড়া দিয়ে আনছি গাড়ি ভাড়ার দামই কয় না।

চাঁদপুর রেলওয়ে দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসার কমিটির একজন সদস্য জানায়, তারা ১৪০টি চামড়া পেয়েছেন। রাতেই ছোট-বড় পশুর চামড়াগুলো গড়ে ৪৬০ টাকা করে বিক্রি করে এতিমখানার ফান্ডে রেখে দেয়া হয়েছে এতিমদের জন্য।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন