শাওন পাটওয়ারী :
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে ৭ বছরের ভাতিজা মাহিবকে হত্যার অপরাধে জেঠা জামাল হোসেন ও অপর সহযোগী সজীব আলমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান। এছাড়া উভয় আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (৮ নভেম্বর) বিকেলে এই আদেশ প্রদান করা হয়।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী জামাল মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোনা এলাকার প্রধানীয়া বাড়ির মুকবুল হোসের ছেলে এবং সজিব একই এলাকার সহিদ উল্ল্যাহর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর দুপুরে মাহিব ঘোনা স্কুলের মাঠে খেলতে যায়। সন্ধ্যার পরও সে আর বাসায় ফিরে না আসলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু বহু খুঁজেও মাহিবকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ ঘটনায় জেঠা জামাল হোসেন ৪ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু কোথাও তার হদিস পাওয়া যায়নি। সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয় যুবক সজিব হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
সজিবের দেয়া তথ্য মতে ঘটনার ৭ দিন পর ১০ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের একটি সেফটি ট্যাংকি থেকে মাহিবের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সজিবের স্বীকারোক্তিমূলক জবাবন্দিতে জেঠা জামাল হোসেনের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
এরপর দীর্ঘ শুনানি এবং ২৫জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য শেষে রোববার বিকেলে বিচারক দুই আসামীকে মৃত্যুদন্ডাদেশ ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডাদেশ দেন।
মাহিবের বাবা মোঃ মাসুদ রানা বলেন, বড় ভাই জামাল হোসেনের সাথে আমার ছেলে সাবিকের সাথে কথা কটাকাটি হয়। এর জের ধরেই আমার আদরের ছেলেকে খুন করে আমার ভাই। দীর্ঘ দুই বছর অপেক্ষা করেছি ন্যায় বিচারের আশায়। ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন সরকারের কাছে দাবি যেন দ্রুত এ বিচারের রায় কার্যকর করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. রনজিত কুমার রায় চৌধুরী বলেন, ধূর্ত জামাল হোসেন প্রথমে নিজে সাধু সাজার চেষ্টা করেছে কিন্তু পুলিশি তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে। শেষ অবদি সাজা হওয়ায় আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।