চাঁদপুরে রেলওয়ের সম্পত্তিতে গড়ে ওঠা অর্ধশাতধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

শরীফুল ইসলাম :
সরকার রোহিঙ্গাদের যায়গা-ঘর দেয় আর আমাদের বসতঘর উচ্ছেদ করে। রোহিঙ্গাদের যায়গা দিতে পারে, আমাদের দিতে পারে না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও কোন সুযোগ সুবিধা পাই না। আমরা গরিব, নদী ভাঙনের কারণে এখানে আশ্রয় নিছি। আমাদের আর থাকথে দিল না। এখন পলাপাইন নিয়া কোথায় যামু। কথাগুলো বলছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ৩নং কয়লাঘাট এলাকার রেলের বস্তির বাসিন্দা লাভলি বেগম।

সোমবার দিনব্যাপি ৭নং ওয়ার্ডের কয়লাঘাট এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্পত্তিতে গড়ে ওঠা অর্ধশাতধিক স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলের অভিযানে ৩০ বছর পর কয়লাঘাট এলাকার রেলের বস্তি উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় সেখানে গড়ে ওঠা সেমিপাকা, টিনশেড ও ঝুপড়ি মিলিয়ে অর্ধশতাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। উচ্ছেদের পর সেখানকার বসবাসকারীরা পথেই যায়গা করে থাকার ব্যবস্থা করছেন।

বসবাসরত খাদিজা, মোস্তফা ও আমির হোসেন গাজী বলেন, আমরা পৌরসভার ভোটার হয়েও কোন সুযোগ সুবিধা পাই না। আজকে রেল আমাদের উচ্ছেদ করে দিয়েছে। আমরা কোথায় থাকব। রেলেও সম্পদ প্রচুর আছে, আমাদেরকে কোথাও থাকার ব্যবস্থা করে দিক। না হলে অসহায় মানুষগুলো কোথায় যাবে।

রেলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল করিম বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে রেলের পক্ষ থেকে নিরাপত্তজনিত ব্যষ্টনি দেয়াল তৈরি হচ্ছে। আমাদের অনেক কার্যক্রম হচ্ছে, এর মধ্যে এটিও একটি অংশ। আমারা আগেই সিডিউল অনযায়ী মাইকিং করে তাদের সরে যেতে বলেছি। তারা আমাদের কথা রেখেছে এবং আমাদের কাজে সহযোগিতা করেছে। এখন পরিষ্কার যায়গা রয়েছে, আমাদের যে দেয়াল আমরা তা করে ফেলব। এখানে শুধু নিরাপত্তা দেয়ার হবে, কোন স্থাপনা হবে তা না। স্টেশনকে নিরপাত্তার জন্য এই বেষ্টনি দেয়াল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শামস মো. তুষার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কমান্ডার সত্যজিৎ দাম, রেলওয়ে থানার ওসি মুরাদ হোসেন বাহার, আরএনবি সিআই ইয়াসিন, সিআই অস্রশাখার রেজওয়ান, রেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী মজুমদার, কারোঙ্গ লাকসাম কাউসার আহমেদ, চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ, চাঁদপুর বিদুৎতের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হারুন, স্টেশন মাস্টার শোয়াইবুল শিকদার, এসএই মো. আব্দুর নূর।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)