চাঁদপুরে হরতালে হেফাজতের মিছিল ও পিকেটিংয়ে পুলিশের বাধা

শাওন পাটওয়ারী :
হেফাজতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে চাঁদপুরের জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক। রাস্তায় যানবাহন চলাচল অন্য দিনের মতোই। অফিস-আদালত, দোকানপাট যথারীতি খোলা রয়েছে। উপস্থিতিও আগের মতো। হেফাজতের নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকলেও পুলিশি বাধায় মিছিল ও পিকেটিং করতে পারেনি।

রোববার ফজর নামাজের পরপর’ই চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হোসাইনের ও সাধাণে সম্পাদক এস এম আনওয়ারুল ক‌রিমের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা প্রদান করে। এরপর আর কোথাও হেফাজতের মিছিল লক্ষ্য করা যায়নি।

এছাড়া শহরের চক্ষু হাসপাতালের সামনে, ওয়ারল্যাস মোড় ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এসব এলাকায় তারা পিকেটিং করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।

চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মহামায়া ও বড় স্টেশন এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা হেফাজতের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখেন।

হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল প্রতিরোধে চাঁদপুর শহরে পুলিশের ২২টি ইউনিট বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে দেখা যায়। হরতালে এখন পর্যন্ত শহরের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন রুটে লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সকালের দিকে যাত্রী কিছুটা কম ছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। জেলার অভ্যন্তরে সব ধরণের যানবাহন আগের মতোই চলাচল করছে।

চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, পুলিশের কঠোর অবস্থানে মাঠে নামতে পারেনি হেফাজত ইসলাম। মহামায়া এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে এমন সংবাদ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করি। শহরের ২২টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের কঠোর অবস্থান ছিল।

এদিকে হরতালের বিপক্ষে শহরের কালিবাড়ি কোর্ট স্টেশন এলাকায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌস মোর্শেদ জুয়েলের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন