চাঁদপুরে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত আটক

শিমুল হাছান :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মনির হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে।শুক্রবার বিকেলে ওই শিক্ষার্থীকে কোর্টে প্রেরণ ও ২২ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। এরপর চাঁদপুর জেনারেল (সদর) হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে ৯ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/১ ধারায় ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে তার কন্যাকে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত মনির হোসেন (২৬) পার্শ্ববর্তী বাড়ির মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে।

রূপসা (দঃ) ইউনিয়নের কাউনিয়া (পঃ) গ্রামের মনির হোসেন রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবাস থেকে বাড়ি আসেন। এর কয়েক দিন পর ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে মনির হোসেনের দেখা ও কথা হয়। তারা মুঠোফোন নম্বর বিনিময় করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে কথা হতো। এর এক পর্যায়ে ৮ জুন রাতে পার্শ্ববর্তী ঈদগাহ মাঠের পাশের মক্তব ঘরে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী দাবি করেন, তাকে ভিন্ন দুই দিনে দুই বার ধর্ষণ করা হয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত মনির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওর সঙ্গে কোনো দিন রাতে কথা হয়নি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চার/পাঁচ দিন দিনের বেলা কথা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোর্শেদ আলম পাটোয়ারী সংবাদকর্মীদের জানান, ৮ জুন রাতে ওই শিক্ষার্থীর পিতা জানিয়েছেন ওইদিন সন্ধ্যার পর হতে তার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না। কারো সাথে পালিয়েছে না কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে গেছে তা তিনি জানেন না। তবে অভিযুক্ত মনিরের সাথে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান। পরদিন সকালে জানতে পারেন, তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, ধর্ষণে অভিযুক্তকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর জেনারেল (সদর) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন