চাঁদপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের কচুয়ায় ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের মামলায় মো. হেঞ্জু মিয়া (৩২) নামে যুবকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় দেন। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামী হেঞ্জু মিয়া উপজেলার করাইয়া পূর্ব পাড়া আবুল হোসেন চেয়ারম্যান প্রধানিয়া বাড়ির মৃত মনু মিয়ার ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে একই উপজেলার লতিফপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ৮ বছর বয়সী শিশু কন্যা এবং তার ছোট ভাইয়ের ৬ বছর বয়সী মেয়ে নয়ন (ছদ্মনাম) পার্শ্ববর্তী নাহারায় বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় নয়নের পায়ের স্যান্ডেল ছিঁড়ে যায়। এ সময় আসামী হেঞ্জু মিয়া তার সেন্ডেল ঠিক করে দিবে বলে পাশের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে নয়নকে বসিয়ে রেখে ৮ বছরের শিশুটিকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত জখম করে।

ওই সময় উভয় শিশু চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে হেঞ্জু মিয়াকে আটক করে এবং মারধর করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে কচুয়া থানার পুলিশ এসে রক্তাক্ত শিশু ও নয়নকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং আটক হেঞ্জু মিয়াকে থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় শিশুর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াজেদ আলী ঘটনাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২৮ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

সরকার পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি গত ৫ বছর চলাকালীন আদালত ১২জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামীর উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় প্রদান করেন।

সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম শাওন এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল কাদির।

শেয়ার করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)