নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর সরকারি জেনালের (সদর) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। অন্যজন করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
সদর হাসপাতালের করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের নাগদা গ্রামের ফজলুল হক (৭০) গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের করোনা আইলোশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। শনিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
এছাড়া শাহরাস্তি উপজেলার কালিয়াপাড়া এলাকার শোয়াপাড়া এলাকার সাজেদা বেগম (৭০) গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৫টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনিও করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া এলাকার সাজেদা বেগম (৫৫) শনিবার (শুক্রবার দিবাগত) রাত ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার নমুনা টেস্টের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ।
এদিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী এলাকার মায়মুনা (৬৫) শনিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ২ ঘন্টার মাথায় বিকেলে ৪টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। তিনি করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। তার নমুনা টেস্টের রিপোর্ট অপেক্ষমান।
অন্যদিকে চাঁদপুর সদরের বহরিয়া এলাকার রামদাসদী গ্রামের মেহেদী হাসান (৩৬) গত ২২ জুলাই সকাল সোয়া ৮টার দিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। তিনিও করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব এখলাশপুর এলাকার সিরাজুল (৫৫) শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তখনি তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট করোনা পজেটিভ।
এর আগে চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের উত্তর পাইকাস্তা গ্রামের কাঞ্চনমালা (৬৫) শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান। ওইদিন সকাল ৮টায় তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রাতে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে করোনা পজেটিভ।